কলকাতা পুজো

পুজো বন্ধ নয়, দমদম পার্ক ভারতচক্রের মণ্ডপসজ্জায় বিতর্কে আপাতত হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট

আইনি জটিলতা তৈরি হলেও পুজোটা নির্বিঘ্নেই কাটল দমদম পার্ক ভারতচক্রের। অবশেষে স্বস্তির হাসি। নানা সমালোচনা, বিতর্ক, মামলা এড়িয়ে দর্শকরা নিশ্চিন্তে মণ্ডপ দর্শন করতে পারলেন। উল্লেখ্য, ভুয়ো দাবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে বহুবার বিদ্ধ হয়েছে বিজেপির আইটি সেল। দমদম পার্ক ভারতচক্রের পুজোমণ্ডপে ‘জুতোর’ ব্যবহার নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই বাঁধিয়ে ছিলেন স্বঘোষিত হিন্দুত্বের ধ্বব্জাধারীরা। অভিযোগ তোলা হয়, মূল মণ্ডপে নাকি জুতোর ব্যবহার করে দেবী দুর্গার অপমান করা হয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছিল থানা-পুলিশ থেকে আদালত পর্যন্ত। পুজো বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছে গিয়েছিলেন হিন্দুত্বের ধ্বব্জাধারীরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, দমদম পার্ক ভারতচক্রের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় এই মুহূর্তে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। সোশ্যাল মিডিয়ার ছবির ভিত্তিতে আদালত মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এর জন্য পুলিশি রিপোর্টের দরকার। তাই আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে দমদম পার্ক ভারতচক্রের মণ্ডপ নিয়ে পুলিশি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। কৃষক আন্দোলনকেই এবার ভারতচক্রের পুজোর থিম করেছিলেন শিল্পী অনির্বাণ দাস। ‘ধান দেব না, মান দেব না’ নামাঙ্কিত থিম রূপায়ন করতে গিয়ে মণ্ডপের অনেক দূরে জুতো ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তাতেই গায়ে ফোস্কা পড়েছিল হিন্দুত্বের ধ্বব্জাধারীদের। এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, ‘থিমের নাম ‘ধান দেব না, মান দেব না’। এর সঙ্গে জুতোর কি সম্পর্ক?’ জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে শুরু করে যেখানেই গণআন্দোলনের উপরে আক্রমণ নেমে এসেছে, সেখানেই লড়াইয়ের পরে প্রচুর জুতো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। লখিমপুরে যখন আন্দোলনরত কৃষকদের উপরে আক্রমণ হয়েছে, তখনও মৃত কৃষকদের পায়ের জুতো পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেই জুতোও প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।’ তিনি আদালতে জানান, ‘মণ্ডপের দুটি অংশ রয়েছে। মূল মণ্ডপে রয়েছে মাতৃপ্রতিমা। সেখান থেকে ১১ ফুট দূরে প্রতীকী হিসেবে জুতো ব্যবহার করা হয়েছে। থিমের ভাবনা থেকেই জুতো রাখা হয়েছে সেখানে। যেহেতু মূল মণ্ডপের সঙ্গে কোনও সংযোগ নেই ফলে ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাতের কোনও প্রশ্নই নেই। ‘