তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণ। তাতে সসম্মানে উত্তীর্ণ হলেন তিনি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকা প্রশংসনীয়। আদালত জানায়, গত ৭ থেকে ৮ মে-র পরে কোথাও কোনও প্রাণহানির খবর নেই। আশা করা যায় এমন শান্তিই বজায় থাকবে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফলাফলের দিন থেকেই হইচই শুরু করেছিল বিজেপি। এ নিয়ে ঘটনাবলির দ্রুত পট পরিবর্তন হতে থাকে। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর আশঙ্কা প্রকাশ, তারপর বিজেপি নেতাদের প্রতিবাদ ধর্না থেকে শুরু হয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের হুঁশিয়ারি। সবশেষে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের আগমন। যা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ওপর আবার এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতেই আজ রাজ্য প্রশাসনের প্রশংসা করল আদালত। তবে তার আগে এই হিংসার জন্য রাজ্য-কেন্দ্র ২ জনকেই কাঠগপড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ঘটনাগুলোর জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র সমানভাবে দায়ী। তবে কার দোষ তা এখন বিচার করার সময় নয়। এখন হিংসা বন্ধ করতে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। মিলিতভাবে হিংসা রোখাই এখন প্রাথমিক কর্তব্য।