এদিন বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় নয়া মোড় নিল। যৌন হেনস্তা, ধর্ষণের ২১টি মামলার কোনও প্রমাণই পায়নি সিবিআই। সিট-এর কাছে ওই মামলাগুলি ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয় গত ২ মে। বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, তারপর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলা। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তাদের একাধিক কর্মী-সমর্থক হামলার শিকার হন। কারও কারও প্রাণ যায়। বেশ কয়েকজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন বলেও অভিযোগ। সেই অভিযোগ যদিও বারবার অস্বীকার করে শাসকদল। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। একাধিক পিটিশন জমা পড়ে আদালতে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখে গত ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়। রাজ্যের একাধিক জায়গা ঘুরে রিপোর্ট তৈরি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে রাজ্যের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করে হাই কোর্ট। পালটা রাজ্যের তরফে অভিষেক মনু সিংভি মানবাধিকার কমিশনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই মর্মে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করা হয়। এই মামলাতেই গত বছরের আগস্টে রায়দান করল কলকাতা হাই কোর্ট। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বৃহত্তর বেঞ্চে এই রায়দান হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবিকে সিলমোহর দিয়ে হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, খুন, গণধর্ষণ, ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্ত করবে সিবিআই। বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর, লুটপাটের মতো অপেক্ষাকৃত কম অশান্তির ঘটনার তদন্তে SIT গঠন করার নির্দেশ হাই কোর্টের। সেই অনুযায়ী তদন্তে নেমে যৌন হেনস্তা, ধর্ষণের ২১টি মামলার কোনও প্রমাণই পায়নি সিবিআই।