বিধানসভা নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বর্ধমানের কাঞ্চননগর । সেই সংঘর্ষে আহত হন বিজেপি কর্মী নারায়ণ দে । পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় । এরপর মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা দে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । সেই ঘটনার তদন্তে বুধবার সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল বিজেপি কর্মী নারায়ণ দের বাড়িতে যায় । স্থানীয় ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণ দে ছিলেন টোটো চালক। তিনি সক্রিয়ভাবে বিজেপির কর্মী ছিলেন। গত 18 এপ্রিল কাঞ্চননগর এলাকা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে । সেই ঘটনায় তৃণমূল কর্মীরা নারায়ণ দে-কে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ । এরপর সেই ঘটনায় পুলিশ নারায়ণ দে সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে । তিনদিন পর জামিন পান তিনি । এদিকে তিনি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন । সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে খোসবাগানে একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । এরপর তিনি মারা যান । স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা দে ।