কলকাতা

প্রধানমন্ত্রী মোদির থেকে বেশি জনপ্রিয় বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রোম যেতে দেয়নি কেন্দ্র: অভিষেক

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির থেকেও বেশি জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সে জন্যই তাঁকে রোমে বিশ্ব শান্তি বৈঠকে যেতে দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার ৷ ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এই ভাষাতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিজেপিকে তুলোধোনা করে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে তালিবানি কায়দায় সরকার চালাচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার ৷ ভবানীপুরে উপনির্বাচনের আগে আজ ছিল শেষ রবিবাসরীয় প্রচার ৷ এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন তাঁর ভাইপো তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বুঝিয়ে দিলেন, শুধু ভবানীপুর নয়, বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের আগামী দিনের লড়াই গোটা দেশজুড়ে হতে চলেছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, “দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় রাজনৈতিক দল রয়েছে ৷ তবে তৃণমূল কংগ্রেসই হল একমাত্র দল, যারা অপরিসীম সাহস দেখিয়ে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে ৷ আমরা ত্রিপুরা ও অসমে পৌঁছে গিয়েছি ৷ খুব শিগগিরই গোয়াতেও যাচ্ছি ৷ কাজেই তৈরি থাকুন ৷ আমরা রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত ৷” মাস তিনেক আগে তাঁকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ

সম্পাদকের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁর কাছে বহু চিঠি ও ই মেল এসেছে বলে দাবি করেন অভিষেক ৷ তিনি জানান, অন্যান্য রাজ্যেও তৃণমূল দলকে সক্রিয় করার আর্জি জানিয়েছেন নানা রাজ্যের মানুষ ৷ কারণ তাঁরা জানে, একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বিজেপিকে হঠাতে পারবে ৷ বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই তাঁকে আটকাতে ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে বলে দাবি করেন অভিষেক ৷ তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “যে দিন ১৪৪ ধারা তুলবেন, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢুকব ৷ ত্রিপুরাতেও জোড়া ফুল ফুটবে ৷” উত্তরপ্রদেশের প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, “উত্তরপ্রদেশের অবস্থা একবার দেখুন…তালিবানি কায়দায় ওরা সরকার চালাচ্ছে ৷ সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ ৷” অভিষেক বলেন, “বিশ্বশান্তি বৈঠকে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু যেহেতু মোদির থেকে মমতার জনপ্রিয়তা বেশি, তাই ওরা তাঁকে যেতে দিল না ৷” তৃণমূল সাংসদের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পা ভেঙে দিলেও হুইলচেয়ারে চেপে প্রচার চালিয়ে তিনি তৃতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ মমতার জন্য ভোটপ্রার্থনা করে অভিষেক বলেছেন, “বাংলা প্রমাণ করে দিয়েছে, বাংলা বাংলার মেয়েকেই চায় ৷ এবার ভবানীপুরের পালা ৷ ভবানীপুরকেও প্রমাণ করতে হবে যে, ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চায় ৷”