কলকাতা

এনআরএস হাসপাতালে উত্তেজনা, হোমগার্ডকে চড় বিজেপি নেতার, ‘‌বেশ করেছে’‌, বললেন দিলীপ ঘোষ

বিজেপি কর্মী অভিজিত্‍ সরকারের মৃতদেহ হস্তান্তর নিয়ে এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে তুমুল উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই নিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, এক বিজেপি নেতা পুলিশের দিকে তেড়ে যান এবং তিনি এক কর্তব্য়রত হোমগার্ডকে সপাটে চড় মারেন। জানা যাচ্ছে ওই বিজেপি নেতার নাম দেবদত্ত মাজি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এবং অভিজিতের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই বচসা গড়ায় ধস্তাধস্তিতে। এরমধ্য়েই মেজাজ হারান বিজেপি নেতা দেবদত্ত মাজি। অভিযোগ, তিনি পুলিশকর্মীদের ধাক্কা দেন এবং এক কর্তব্যরত হোমগার্ডকে চড় মারেন। যার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। পরে অবশ্য চড় মারার বিষয়টি অস্বীকার করে বিজেপি। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেব আমরাই। উল্লেখ্য এদিন বিজেপি কর্মীর দেহ নিতে এনআরএস হাসপাতালে যান বিশ্বজিত্‍ সরকারের পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি ছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেয়াল, শিবাজি সিংহ রায়, দেবদত্ত মাজি-সহ নেতা-কর্মীরা। পরে দেহ নিয়ে বিজেপি কার্যালয়ের দিকে রওনা হন বিজেপি নেতারা। হোমগার্ডকে চড় মারার ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌সরকারের গালে থাপ্পড় মারা উচিত, হোমগার্ডকে মেরে ঠিক করেছে। চার মাস ধরে বডি পায়নি। ন্যূনতম মানবিকতা নেই।’‌

উল্লেখ্য, ২ মে বিধানসভার ফল ঘোষণার পরই কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিত্‍ সরকার খুন হন। বিজেপির দাবি ছিল তৃণমূলই অভিজিত্‍কে পিটিয়ে খুন করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে কাঁকুড়গাছি থানার পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিজেপি কর্মীর দেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তরের কথা ছিল। সেইমতো এদিন সকাল ১১টা নাগাদ অভিজিতের পরিবার এবং বিজেপি নেতারা এনআরএস হাসপাতালে চলে আসেন। বিজেপির অভিযোগ, দেহ হস্তান্তরে অযথা দেরি করছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা।