🔵 জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা বাংলা ভাষাতেও নেওয়া হোক
🔵 ৮ টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে রাজ্যে
🔵 ৫০টি কলেজ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার
জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে কৃতি পড়ুয়াদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি মানেন না মুখ্যমন্ত্রী, একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে এত মেধাবী এবং প্রতিভাবান পড়ুয়া রয়েছেন। অথচ নতুন শিক্ষানীতিতে কেন্দ্র মেধাতালিকাই বাদ দিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। আমরা কেন্দ্রের শিক্ষানীতি মানি না।” তিনি এও বলেন, জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা বাংলা ভাষাতেও নেওয়া হোক। এদিন মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জয়েন্ট এন্ট্রাস এবং মাদ্রাসা পরীক্ষায় কৃতি পড়ুয়াদের ভার্চুয়ালি সংবধর্না দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবর্ধনার অনুষ্টানে হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, মুখ্যসচিব আলাপন ব্যানার্জি-সহ আরও একাধিক সরকারি আধিকারিকেরা। রাজ্য সরকারের তরফে মোট ৭৮৫ জনকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এই অনুষ্ঠান থেকেই নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ছাত্রছাত্রীদের গৌরবের জায়গাই বন্ধ করে দিতে চাইছে। আমরা এই নয়া শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছি।” একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃতি পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘তোমরা এত ভাল ভাবে পড়াশোনা করবে যে, তোমাদের কোথাও দৌড়তে হবে না। বরং সারা পৃথিবী তোমাদের ডাকবে, তোমাদের খুঁজবে। পরবর্তীকালে তোমরা কেউ নাসায় যাবে, কেউ ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে, কেউ আবার মাস্টারমশাই হবে। বাংলার ছেলেমেয়েদের মেধার কোনও তুলনা নেই। খোঁজ নিলে দেখবে, ইউএন, ইউএসএ-তে বাঙালির সংখ্যা কত বেশি। হার্ভার্ড থেকে কেমব্রিজ সর্বত্র প্রতিভাবান বাঙালি, স্পেস সায়েন্স বা অন্য গবেষণার ক্ষেত্রে বা বিজ্ঞানীদের মধ্যেও প্রচুর কৃতি বাঙালি রয়েছেন।’ উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিংবা বই কেনা ও অন্য ক্ষেত্রে যদি কোনও সমস্যা হয়, তাহলে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন আরও বেশ কিছু ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ৮ টি নতুন সরকারি মেডিকেল কলেজ তৈরি হচ্ছে রাজ্যে। এছাড়াও আমাদের ৮৮ টি পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং অন্যান্য সমস্ত জেলাতেই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির পরিকল্পনা চলছে। তবে রাজ্যে আরও দু’টি যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একটি ‘জয়হিন্দ বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে বাবা আম্বেদকরের নামে।। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, কালীপুজোর পর ভাবা হবে কবে থেকে রাজ্যে স্কুল খুলবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল খোলার পর কী কী বিধি মেনে ক্লাস শুরু হবে, শুরুতেই সব ক্লাস চালু হবে নাকি আগে নবম-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন শুরু হবে এই ব্যাপারে সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ৫০টি কলেজ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার