গত জানুয়ারি থেকে মোট ৬জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন। ফলে গরিষ্ঠতা হারিয়েছিল সরকার। সোমবার বিধানসভায় আস্থাভোট হয়। তাতে হেরে যায় ভি নারায়ণস্বামী সরকার। ৩৩ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন মাত্র ন’জন। কংগ্রেস ডিএমকে জোট সরকারের মোট সাতজন ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ডিএমকে-র এক বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছিলেন গতবছর জুলাই মাসে। এদিন আস্থাভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী দাবি করেন, তাঁর গরিষ্ঠতা আছে। গরিষ্ঠতা পেতে হলে দরকার ছিল ১৪ টি আসন। কিন্তু নারায়ণস্বামীর পক্ষে ছিলেন ১২ জন বিধায়ক। আস্থাভোটের আগে নারায়ণস্বামী ব্যাখ্যা করেন, গত পাঁচ বছরে তাঁর সরকার কী কাজ করেছে। তাঁর দাবি, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন তাঁকে পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। আস্থাভোটে সরকার পড়ে যাওয়ার পরে পুদুচেরিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে। আর কয়েকমাস পরেই ভোট হবে পুদুচেরিতে। যে কংগ্রেস বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছিলেন, তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও একই পথে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।