দেশ বিদেশ

ভারতের সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি বানাচ্ছে চিন

একদিকে চিন ও ভারতের নেতারা বলছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত উত্তেজনা কমিয়ে আনতে হবে। ফেরাতে হবে স্থিতাবস্থা। কিন্তু সীমান্তে সামরিক প্রস্তুতি চলছে পাল্লা দিয়ে পূর্ব লাদাখের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে নিজেদের সীমানায় পিছু না হটার জেদে অনড় চিনা সেনা। চিনের মতলব বুঝতে পেরে ভারতও সেনা সরাচ্ছে না। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ভারতের সীমান্তে চিন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করছে। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিগুলিতে আপাতভাবে দেখা যাচ্ছে যে, চিন দুটি নতুন সারফেস টু এয়ার মিসাইল ফেসিলিটি নির্মাণ করছে। মনে করা হচ্ছে, চিন এই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি (এয়ার ডিফেন্স পজিশন) থেকে মে মাসে ভারত ও চিনা সেনারা যে জায়গায় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিল, সেই এলাকা ছাড়াও ডোকলাম ও সিকিম সেক্টরের বিতর্কিত স্থানগুলিকে নিশানা করতে পারে। অ্যাটডেট্রেসফা নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে যে উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দুটি ঘাঁটিই এমন দুটি জায়গায় যেখান থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের সুবিধা পেতে পারে। ওই দুটি জায়গাই সিকিমের উলটো দিকে রয়েছে যা প্রাথমিক সন্দেহজনক সতর্কতা রাডার সাইট হিসাবে বিবেচনা করে ভারত। উপগ্রহের ছবি থেকে পরিষ্কার, চিন এমন দুটি জায়গায় তাদের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি বানাচ্ছে, যেখান থেকে খুব সহজেই ডোকলাম, সিকিম সেক্টর এবং পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা চিনা ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লায় চলে আসবে। জানা গিয়েছে, চিনের নতুন এই মিসাইল বেসটি ডোকলাম থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে এবং ডোকলাম মালভূমির কাছাকাছি যেখানে ২০১৭-তে ভারত-চিনের মধ্যে ৭৩ দিন সামরিক উত্তেজনা চলেছিল। একইসঙ্গে, নাকু লাও চিনের নিশানার মধ্যেই রয়েছে। এই নাকু লাতেই গত ৯ মে ভারতীয় সেনার সঙ্গে লাল ফৌজের সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১১ জন জখম হন। গ্রাফিক ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, চিনের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি ভারত, ভুটান ও চিনের সীমান্তের কাছে এবং অন্যটি সিকিমের উলটোদিকে। তবে সীমান্তের কাছে চিনের এই প্রতিরক্ষা ত৻পরতার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল হলেও এখনও পর্যন্ত ভারত কোনও মন্তব্য করেনি।