জেলা

কাঁথি সমবায় ব্যাংক আর্থিক দুর্নীতির ঘটনার তদন্তে সিআইডি

এবার কাঁথি সমবায় ব্যাংক আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় সিআইডি কোমর বেঁধে নেমে পড়ায়। কেননা এই দুর্নীতির দায়ে যে ২জনকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে তাঁদের একজন অবশ্যই শুভেন্দু, অন্যজন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। কাঁথি মহকুমার তৃণমূল সমবায় সেল সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলে ব্যাঙ্কের উচ্চতর আধিকারিকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। এবার জল যেদিকে গড়াচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই এই ঘটনায় মাঠে নেমে পড়বে সিআইডিও। আর তার জেরেই বিপদ বাড়চ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ছিলেন। তৃণমূল সমবায় সেলের অভিযোগ, সেইসময় থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে পর্যন্ত ওই ব্যাঙ্কগুলিতে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতিমূলক কাজ হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বজনপোষণের অভিযোগও উঠেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেন করা নিয়েও। পাশাপাশি ব্যাঙ্কে বেআইনিভাবে গোপনে কয়েকজনের পদোন্নতিও হয়েছে। আর এসের মূলে ছিলেন শুভেন্দু, অন্তত তেমনটাই অভিযোগ তৃণমূলের সেলের। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর রাজ্য পুলিশের সঙ্গে এই মামলা নিয়ে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছেন সিআইডির আধিকারিকদের। কোথায়, কোন দুর্নীতি হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই অবস্থায় সিআইডির এই তত্‍পরতা দেখে মনে করা হচ্ছে শুভেন্দুর নাম থাকা এই অভিযোগে চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্য। সব থেকে বড় কথা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু এই সব মামলায় গ্রেফতার হলে সেখানে তাঁরা কোনও ভাবেই তাঁকে সমর্থন করবেন না। কেননা যে সময়ের ঘটনা তুলে ধরে এই সব তদন্ত হচ্ছে সেই সময় শুভেন্দু তৃণমূলে ছিলেন। কাজেই সেই সময়ের ঘটনার দায় বিজেপি কেন নেবে, আর কেনই বা তাঁকে বাঁচাবে। শুভেন্দুর লড়াই শুভেন্দুকেই আইনি পথে লড়তে হবে। গ্রেফতার হলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে দিতে হবে। 

প্রতীকী ছবি।