বীজপুরের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল এবং বিজেপি। শুভ্রাংশু রায় মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরনোর পরই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁর দিকে হামলা চালাতে এগিয়ে আসে। পাল্টা বিজেপি কর্মীরাও তৃণমূলের দিকে তেড়ে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসকের দপ্তর চত্বর। এই সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিও চলে বলে খবর পুলিশ সূত্রে। ঘটনায় জখম হন মুকুল পুত্রও। আহত অবস্থায় তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রার্থীরা আসবেন জেনে মহকুমা শাসকের দপ্তরের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। কিন্তু পুলিশের সামনেই কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চলে এল দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গেল। তৃণমূল কর্মীদের দাবি, বীজপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুবোধ অধিকারীর এক আত্মীয়ের গাড়িতে ভাঙচুর চালায় শুভ্রাংশু রায়ের অনুগামীরা। তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিও চালায় ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের গুন্ডাবাহিনী। ভোটের মুখে ব্যারাকপুরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে, উত্তর ২৪ পরগণা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘ব্যারাকপুরে সন্ত্রাসের নায়ক হল অর্জুন সিং। আর এই অর্জুনের নেতৃত্বেই গত এক বছর ধরে জগদ্দল, ভাটপাড়া, টিটাগড়, খড়দহে চলছে লাগাতার সন্ত্রাস। আজও ব্যারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের বাইরে যে গন্ডগোল হয় তার পিছনে রয়েছে অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরের মানুষ বিজেপিকে ভোটে হারিয়ে এর যোগ্য জবাব দেবে’। উল্টোদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, ‘ব্যারাকপুর কমিষশনারেট পুরো নিস্ক্রিয় রয়েছে। পুলিশের সামনেই বন্দুক হাতে ঘুরছে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমাদের বীজপুরের প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের উপর হামলা চালায় জগদ্দলের তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা। গুলিও চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী।