তবে সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে না
কলকাতাঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে তত্পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অর্থাত্ আগামিকাল থেকে বন্ধ লোকাল ট্রেন। যেহেতু লোকাল ট্রেনে লোকে ভিড় করে, গাদাগাদি করে যাতায়াত করেন, তার জন্য সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি। তাই আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে। তবে মারণ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ। পরিবর্তন করা হল বাজার খোলা রাখার সময়েও। পরিবর্তন হচ্ছে ব্যাংক খোলার সময়ও। তবে সম্পূর্ণ লকডাউন হচ্ছে না। পরতে হবে মাস্ক। নইলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার শপথ গ্রহণের পরই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় তত্পর মুখ্যমন্ত্রী। শপথগ্রহণের পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, আপাতত করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই এদিন একাধিক নতুন নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখনই লকডাউনের পথে হাঁটলেন না মুখ্যমন্ত্রী।
- আগামীকাল থেকে ১৪ দিনের জন্য বন্ধ রাজ্যের সমস্ত লোকাল ট্রেন।
- সরকারি পরিবহণ এবং মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ।
- বিমানযাত্রা ও দূরপাল্লার বাসযাত্রায় আরটিপিসিআর পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিএর পরীক্ষা করতে হবে। তবে রাজ্যে আসার পর ব়্যাপিড টেস্টে করোনা আক্রান্তের হদিশ পেলে ১৪ দিনেক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এর ব্যবস্থা করবে বিমানবন্দর।
- বাজার খোলার সময় পরিবর্তন করা হল। সকাল ৭টা থেকে সকাল ১০টা, এবং বিকেল ৫টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- তবে বউবাজারের সোনার দোকান খোলা রাখার সময়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সোনার দোকান দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকবে।
- ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।
- সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মীর হাজিরা চালু। বেসরকারি অফিসে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর।
- বন্ধ থাকছে রেস্তরাঁ, শপিং মল, জিম, সুইমিং পুল, বিউটি পার্লার, স্পা, পাব, বার।
- রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ। বিয়ে বাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
- টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণকর্মী, সংবাদকর্মী ও হকারদের অগ্রাধিকার। প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ডোজে দেওয়ায় গুরুত্ব বেশি।
- কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে সন্দেহ থাকলে মৃতের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। যার রিপোর্ট দু-তিনঘণ্টার মধ্যে মিলবে। ফলে মর্গে দেহ জমা থাকবে না।
- গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিত্সায় জোর দেওয়া হবে।
- গ্রামে থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোয়াক চিকিত্সককে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হচ্ছে। যাতে তাঁরা কোভিড চিকিত্সা করতে পারেন।