মহালয়ায় দিন থেকেই পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়ে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে সেই ধারাবাহিকতা চলছে। আজ অর্থাৎ প্রতিপদেও শহরের একাধিক পুজো মণ্ডপের উদ্বোধনে হয়ে গেল গেল মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। দুপুরে পুজোর উদ্বোধন তিনি শুরু করলেন উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজো কলেজ স্কোয়্যার থেকে। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান খিদিরপুর এলাকায়। সেখানে ২৫ পল্লি ও ৭৪ পল্লির পুজোর সূচনা করেন। তারপর তিনি ফের দক্ষিণ
কলকাতায় আসেন। বড়িশা ক্লাব এবং নূতন দলের পুজোর উদ্বোধন করেন। মণ্ডপ দুটি ঘুরে দেখেন। জনতার প্রতি তাঁরা বার্তা, মাস্ক পরে, নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয়ার আনন্দে মেতে উঠুন। পুজো উদ্যোক্তাদেরও মাস্ক, স্যানিটাইজার রাখার কথা বলেন। মাস্কবিহানী কাউকে দেখলে যেন উদ্যোক্তারাই তা দিয়ে দেন, এ কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেহালা থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান হরিদেবপুরের ৪১ পল্লিতে। সেখানে উদ্বোধন সেরে অজেয় সংহতির মণ্ডপে পৌঁছন। মণ্ডপ কিছুক্ষণ ঘুরে দেখেন দুই
জায়গাতেই।সন্ধে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ঘুরলেন বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে। সবকটি মণ্ডপ থেকেই তিনি জনগণকে পুজোর শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি সতর্কতা অবলম্বন করে উৎসবের দিনগুলোয় মেতে ওঠার কথা বলেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর চলে আসেন কসবা এলাকায়। এখানকার বিখ্যাত পুজো বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজোর উদ্বোধন করেন। তারপর আদি বালিগঞ্জ সর্বজনীন এবং গড়িয়াহাটের হিন্দুস্তান ক্লাব মণ্ডপে যান। মাঝে অবশ্য ২১ পল্লির মণ্ডপে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে সংক্ষিপ্ত আরতির পর সেখানে রাখা একটি ব্ল্যাকবোর্ডে দুর্গার মুখ আঁকেন মুখ্যমন্ত্রী। এভাবেই হাজারও ব্যস্ততার মাঝে বৃহস্পতিবার ডজন খানেক পুজোর উদ্বোধন সেরে ফেলেন তিনি।