আজ দুপুর ৩ টে ১০ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা থেকে প্রায় ৫০ কিমি উত্তরপূর্বে ছিল এবং অবতরণের চেষ্টা করছিল ৷ সেই সময় প্রবল ঝাঁকুনি শুরু হয় । যাকে এয়ার টার্বুলেন্স বলে ৷ বিমানের পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ৷ তাঁকে ৭ হাজার ফুট থেকে ২ হাজার ফুট নিচে আসার পরামর্শ দেয় এটিসি ৷ সেই নির্দেশ মানতে গিয়ে বিমানচালক বিমানটিকে আচমকা নিচে নামিয়ে আনেন ৷ ঝাঁকুনির কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পিঠে আঘাত লেগেছে । অল্পবিস্তর চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সফররত সঙ্গীরা। শুক্রবার কলকাতার আকাশ পরিষ্কার ছিল এবং এটিসি-র তরফে পাইলটকে আগাম কোনও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। অনেক সময় এয়ার পকেটের কারণে বিমান আচমকা অনেকটা নিচে নেমে আসে। এ ক্ষেত্রেও সেটাই কারণ নাকি বিমানের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যে এটা হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে নবান্ন । যাইহোক, শেষ পর্যন্ত ৩টে ৩০ মিনিট নাগাদ নিরাপদে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করে ৷ নবান্নের তরফে সরকারিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি । মুখ্যমন্ত্রীর বিমান যাত্রায় এর আগেও এমন বিভ্রাট ঘটেছে । ২০১৬-য় মুখ্যমন্ত্রী পটনা থেকে কলকাতা ফেরার পথে কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামার অনুমতি পায়নি ৷ তাঁর বিমানটিকে প্রায় আধ ঘণ্টা আকাশে চক্কর কাটতে হয় । বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে আসায় পাইলট বারে বারে অবতরণের অনুমতি চাইলেও দেরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে । ওই ঘটনারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার ।