কলকাতা

‘আরটি-পিসিআর টেস্ট না হলে গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়া যাবে না’, আদালতের নির্দেশ মেনে চলার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী ১৪ জানুয়ারি গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্তের গঙ্গাসাগরমুখী পুণ্যার্থীরা বাবুঘাটে ভিড় জমিয়েছেন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে তবেই গঙ্গাসাগরে যান, পুণ্যস্নানের আগেই বাবুঘাটে গিয়ে বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে, এদিন বাবুঘাটের আগে সিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দের বাসভবনেও যান তিনি।  স্বামীজীর বাড়ির ভিতরে ঢোকেননি তিনি। বাড়ির বাইরে আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এরপর বাবুঘাট গিয়ে গঙ্গাসাগর ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুঘাটে গঙ্গাসাগর মেলার ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে পূর্ণ্যার্থীদের কোভিড বিধি মেনে চলার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে পূর্ণ্যার্থীদের উদ্দেশে তিনি বললেন, আদালতের নির্দেশ মেনে কাজ হচ্ছে। আরটি-পিসিআর টেস্ট না হলে মেলা যাওয়া যাবে না। কোভিড পরীক্ষা না করিয়ে গঙ্গাসাগরে যাওয়া যাবে না। সবাই মিলে কাজ করুন। প্রশাসনের কথা মেনে চলুন। কোভিড আমাদের হাতে নেই। সচেতন হন, গঙ্গাসাগর মেলা যান। গঙ্গাসাগর মেলা কমিটি আপনাদের পাশে আছে’। তিনি এও বলেন ‘কোভিডে আক্রান্ত মন্ত্রী-আমলারা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা। প্রত্যেককে মাস্ক পরুন। পারলে ডবল মাস্ক পরুন। প্রশাসনের কথা মেনে চলুন’। মেলা কমিটিকে উদ্দেশ্য করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেশি লোক পাঠাবেন না। কলকাতা হাই কোর্টের কড়াকড়ি আছে। আদালতের নির্দেশমতো চলতে হবে। যাঁরা গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন তাঁদের আরটি পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। না হলে যাওয়া যাবে না। কোভিডবিধি মেনে চলুন। ডাবল মাস্ক পরুন। স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।” প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতি ঘরে ঘরে সকলে করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা মোকাবিলায় জীবন দিয়ে কাজ করছেন। এটা হইহুল্লোড় করার সময় নয়। যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁরা দয়া করে গঙ্গাসাগরে যাবেন না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্যের মানুষ গঙ্গাসাগরে যাচ্ছেন। তাই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। গঙ্গাসাগর মেলা করা মুখের কথা নয়। যথেষ্ট কঠিন।” সকলকে শান্তি বজায় রাখার আরজিও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, ”কোভিড জয় করেছি, ওমিক্রনের দাপটও রুখে দেব। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক পরুন। প্রয়োজনে ডাবল মাস্ক পরুন। অযথা ভয় পাবেন না।”