কলকাতা

আহত সুদীপ-জয়াকে দেখতে এসএসকেএমে এলেন মুখ্যমন্ত্রী, বললেন বিপ্লবের সাহস নেই, অমিত শাহের নির্দেশেই হামলা হয়েছে

ত্রিপুরায় আহত যুবনেতা সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তকে দেখতে এসএসকেএমে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে আসেন তিনি। কথা বলেন চিকিত্‍সকদের সঙ্গে। খোঁজ নেন জয়া ও সুদীপের শারীরিক পরিস্থিতির।রবিবার গভীর রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে। দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভরতি রয়েছেন সুদীপ। ইতিমধ্যেই তাঁর এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। জয়া দত্ত ভরতি রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে। হাসপাতালে গিয়েছিলেন অরূপ বিশ্বাসও।আহতদের দুই যুবনেতাকে দেখে বেরিয়ে ত্রিপুরা সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমাদের ছাত্র নেতাদের পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে মেরেছে। সুদীপের মাথা ফেটে গিয়েছে। জয়ার কান ফেটেছে। এরপরও ৩৬ ঘণ্টা ওদের কোনও চিকিৎসা করা হয়নি। এমনকী অসুস্থদের জল পর্যন্ত দেয়নি। আমাদের যে নেতারা থানায় গিয়েছিলেন তাঁদেও জল দেয়নি। ওরাও এতটা নির্দয় বিজেপি। এর আগে অভিষেককে হেনস্থা করা হয়েছে। ওর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। ওর গাড়ি সাধারণ হলে ওর মাথাও চুরমার হয়ে যেত। এসব করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না বলেই হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সরাসরি অমিত শাহকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এও বলেন, “আগামীদিনে আমরাই ত্রিপুরা জয় করব। আমি নিশ্চিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই সব হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই। যারা অত্যাচার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু হয়নি।”