আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন বাংলার ২০০ জন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, তাঁরা খবর পেয়েছেন, দার্জিলিং, তরাই এবং কালিম্পংয়ের ২০০ জন আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন। তাঁদের কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সে বিষয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাংলার মানুষকে কীভাবে ফেরানো য়ায়, সে বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন মুখ্যসচিব। বিষয়টি নিয়ে কথা বলাও হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে বাংলার ওই ২০০ জন ভারতে এবং পশ্চিমবঙ্গে ফেরানো যায়, সেই চেষ্টা চলছে। সম্প্রতি কাবুল দখল করে নেয় তালিবান। কাবুল দখলের পর থেকে গোটা আফগানিস্তান থেকে মানুষ পালাতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে মহিলা এবং শিশু। তালিবান জমানায় আফগানিস্তানে মহিলাদের কী হাল হয়, সে বিষয়ে শঙ্কিত প্রায় গোটা বিশ্ব। যদিও তালিবানের তরফে দাবি করা হয়েছে, মহিলাদের অধিকার এবং বাক স্বাধীনতা নিয়ে তারা অবগত। মহিলাদের পড়াশোনা এবং কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে তা শরিয়তি আইন মেনে। ইসলামিক ভাবধারা মেনে তবেই মহিলাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয় তালিবানের তরফে।
বাংলার কোনও মানুষ আফগানিস্তানে আটক রয়েছেন কিনা তার খোঁজ নিতে উদ্যোগী হয়রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। কেউ আটকে থাকলে তাঁরা কোন শহরে রয়েছেন এবং নাম, ফোন নম্বর সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাংলায় বসবাসকারী আফগান নাগরিকদের কোনও সহায়তা প্রয়োজন কিনা তারও খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলা থেকে যা যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে সবই দিল্লিকে পাঠানো হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরার জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে। শুধু ভারতীয়দেরই নয়, কোনও আফগান নাগরিক ভারতে আসতে চাইলে তার জন্যও দ্রুত আবেদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।