কলকাতা পুলিসের বিরুদ্ধে আদালতে গেল এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির অবাধ বিচরণ রুখতে ইডির বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল কলকাতা পুলিস। অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর সঙ্গে ইডি অফিসারদের কথোপকথনের অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসতেই নোটিস জারি করেছিল কলকাতা পুলিস। সেই নোটিস বাতিল করার আবেদন করে দিল্লির আদালতে আবেদন করল ইডি। উল্লেখ্য, ইডি কর্তাদের পাল্টা তলব করা হয়েছে লালবাজারে। গত ৩১ অগস্টের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এই নোটিশ শুধু একজনকে নয়, তিন তিনজন ইডি কর্তাদের পাঠানো হয়েছে। এই ৩জন হলেন ইডির জয়েন্ট ডিরেক্টর, স্পেশাল ডিরেক্টর ও অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর। চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কয়লাপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গণেশ বাগারিয়ার সঙ্গে কয়েকজন ইডি অফিসারদের কথোপকথনের অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসে। মূলত এই বিষয়ে তদন্তের জন্যই ইডি কর্তাদের তলব করা হয়েছে। আবার এটাও সত্যি সস্ত্রীক অভিষেককে তলব করা হয়েছে এই কয়লা পাচার কাণ্ডের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে। তাই বেশ বোঝা যাচ্ছে লালবাজারে ইডি কর্তাদের তলবের মূল উত্স কী! কয়লাপাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গণেশ বাগারিয়ার সঙ্গে ইডি অফিসারদের কথোপকথনের অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। ভোটের কারনে সেই ঘটনার তদন্ত ধামাচাপাও পড়ে গিয়েছিল। এখন ইডি দিল্লিতে অভিষেক আর তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠানোর পরে পরেই গণেশ বাগারিয়ার মামলাটিও কলকাতায় নতুন করে খোলা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কোনও লেনদেন সংক্রান্ত কথা সত্যিই হয়েছে কিনা তা জানতে চায় লালবাজার। যদিও এর আগেও একবার ইডি কর্তাদের লালবাজারে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তখন হাজিরার নোটিশ এড়িয়ে যান ইডি কর্তারা। এবার নাছোড় লালবাজার। তাই এই নোটিশ পাঠিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। তবে সন্দেহ আছে যে লালবাজারের তলবে ইডির কর্তারা হাজিরা দেন কিনা। কেননা ইডি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে রয়েছে আর পুলিশ রয়েছে রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। কার্যত এই দুই মন্ত্রকই এখন আবার রয়েছে অমিত শাহ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। তাই ঘুরে ফিরে সেই রাজনীতির সঙ্ঘাতই এসে পড়ছে এখানে।