দেশজুড়ে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কোথাও রাতে কার্ফু জারি হচ্ছে তো কোথাও চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করছে প্রশাসন। এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রতিষেধক পেতে চাইবে দেশের প্রত্যেক নাগরিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলছেন, সবার টিকা নেওয়ার প্রয়োজন নেই। দেশের সবার টিকাকরণ হবে কিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে এ প্রশ্ন রেখেছিলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন, সবাইকে টিকা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেয়নি কেন্দ্র সরকার। টিকার অভাব বা পরিকাঠামোগত ঘাটতি নয়, বৈজ্ঞানিক কারণেই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছেন হর্ষ বর্ধন। তাঁর মতে, দেশের ৬০-৭০ শতাংশের টিকাকরণ হলেই যথেষ্ট। তাঁদের শরীরে যদি করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায় তবে আর ক্ষতি করতে পারবে না করোনা ভাইরাস। ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথমে চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। এরপর ষাটোর্ধ্ব প্রবীণ নাগরিক এবং ক্রনিক রোগে ভুগতে থাকা ৪৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের টিকাকরণের আওতায় আনা হয়েছে। সিংহভাগ এখনও অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু সবার ভাগ্যেই যে শিকে ছিঁড়বে, এমন নয়, জানিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।