বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অত্যধিক নেশার টানে মৃত্যু হল একবালপুরে সাবা খানের ? দিন যত গড়াচ্ছিল, ততই জোরাল হচ্ছিল সেই প্রশ্ন। চলছিল জোর জিজ্ঞাসাবাদ। একবালপুরে তরুণী খুনের কাণ্ডে এক দম্পতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। একটানা জেরার পর রবিবার সাবার পরিচিত শেখ সাজিদ এবং তার স্ত্রী অঞ্জু বেগমকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রবিবার ভোরে মিশন রোডে এবং ডক্টর সুধীর বসু রোডের কাছে সাজিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাস রোধ করেই খুন করা হয় তরুণীকে। কিন্তু খুন করার পর কে বা কারা বস্তাবন্দি দেহ ফুটপাথে ফেলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত চালায় পুলিশ। ওই এলকার সিসি ক্য়ামেরা খারাপ থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল খুনের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িয়ে আছে। এরপরেই সাজিদ ও ইমরান নামে দুই যুবককে ধরে জেরা করতেই, সাজিদ জেরায় খুনের কথা শিকার করে। এদিকে বছর কুড়ির নয়না সদ্যই রিহ্যাব থেকে ফিরে এসেছিল। খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছে সুনয়না। তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ সবদিন করত নয়। কেউ কটুক্তি করলেও স্কুটি থেকে নেমে মারপিট শুরু করে দিত। তবে এখানে আরও একটা প্রশ্ন উঠেছে তাঁর মৃত্যুর পিছনে মাদকচক্র নাকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা নাকি পরকীয়া, কোনটা নয়নার জন্য কাল হল, খতিয়ে দেখছে লালবাজার শাখা।