বিবিধ

করোনা ভাইরাসে সংক্রমিতদের দেহে বাসা বাঁধছে নতুন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস

🔴 করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কোনও রোগীর যদি কোমর্বিডিটি থাকে, অর্থাৎ তাঁদের ডায়াবেটিস, কিডনি কিনবা হার্টের সমস্যা থাকে, ক্যান্সার প্রভৃতি সমস্যা থাকে তাঁদেরও এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে

নয়াদিল্লিঃ দিল্লির এক নাম করা বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের মধ্যে এক নতুন ছত্রাক ঘটিত রোগ দেখা দিচ্ছে । এই ব্ল্যাক ছত্রাক সাধারণত শরীরে শ্লেষ্মার তৈরি করে । করোনা রোগীদের দেহে এই শ্লেষ্মা জাতীয় রোগের দেখা পাওয়া মিলছে । কালো ছত্রাক বা শ্লৈষ্মিক এই সংক্রমণ, দীর্ঘকাল ধরেই এমন রোগীর মধ্যে দেখা যায়, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম । এর সংক্রমণের ফলে প্রাণ সংশয়ও ঘটতে পারে ৷ চিকিৎসকদের মতে, কোভিড দ্বারা চালিত এই বিপজ্জনক ব্ল্যাক ছত্রাকের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ শেষ দুইদিনেই এই ধরণের ছয়টি ঘটনা সামনে এসেছে ৷ গত বছর, এই মারাত্মক ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে বহু রোগী প্রাণ হারান ৷ বহু রোগী এরফলে দৃষ্টিশক্তিও হারান ৷ হাসপাতালের ইএনটি দফতরের

আচেয়ারম্যানের মতে, অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগীর ডায়াবেটিস থাকায়, তাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগ করাতে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় ছত্রাকের সংক্রমণ বাড়ছে ৷ তাঁর কথায় করোনা থেকে সুস্থ হওয়া কোনও রোগীর যদি কোমর্বিডিটি থাকে, অর্থাৎ তাঁদের ডায়াবেটিস, কিডনি কিনবা হার্টের সমস্যা থাকে, ক্যান্সার প্রভৃতি সমস্যা থাকে তাঁদেরও এই ছত্রাক দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি ৷ কম ইমিউনটির কোনও রোগীর এই সমস্যা বেশি করে দেখা যায় ৷ এই ব্ল্যাক ছত্রাকের সংক্রমণের উপসর্গগুলি হল- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখে যন্ত্রণা, নাকে কালো দাগ ৷ এই উপসর্গগুলি দেখা গেলে দ্রুত বায়েপসি করিয়ে, অন্টিফানগ্যাল থেরাপি করানোর পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷

মিউকর্মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণ..

যাঁরা এ পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন, প্রত্যেকে চোখের নীচে যন্ত্রণা অনুভব করেছেন। নাক থেকে সংক্রমণ শুরু করে ফ্ল্যাক ফাঙ্গাস পরে তা চোখে ছড়িয়ে পড়ে ক্রমশ। এরপর মুখ ফুলে যেতে শুরু করে, মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। জ্বরও আসে। সাইনাসে সংক্রমণ হতে পারে। ক্রমশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর খারাপ হতে হতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন বলে দেখা যাচ্ছে।

কারা আক্রান্ত হতে পারেন…

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ওই সময় আক্রমণ করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ডায়াবেটিকরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। পাশপাশি করোনায় আক্রান্ত কো-মর্বিডরাও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে খবর।

কী করণীয়..

কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পরও যাঁদের শরীরে দুর্বলতা কাটছে না, তাঁরা নাক আর চোখে হাত দেওয়া বন্ধ করুন। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন থাকুন সব সময়। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরও যদি নাক, চোখ ফুলে যেতে শুরু করে, তাহলে চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন সঙ্গে সঙ্গে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের লক্ষ্মণ দেখা দিলে, যত তাড়াতাড়ি চিকিত্‍সা শুরু হবে, তত দ্রুত সুস্থ হবেন রোগী।