বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলকে একাসনে বসিয়ে ‘বিজেমূল’ নামক এক শক্তির বিরুদ্ধেই লড়েছিল বামফ্রন্ট। কিন্ত তাতে ফল হয়েছে উল্টো। কিন্তু সিবিআই-এর গ্রেফতারি নিয়ে এ বার তৃণমূল কংগ্রেসের পাশেই দাঁড়াল সিপিআইএম। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তৃণমূল সরকারের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও এই পদক্ষেপকে আকারে ইঙ্গিতে ‘প্রতিহিংসাপরায়ণতা’ বলেই উল্লেখ করেছেন। সিবিআই-এর পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করে এ দিন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে লেখা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে এবং নজর অন্য দিকে ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ করেছে। চার হেভিওয়েট রাজনীতিকের গ্রেফতারি পরিষ্কারভাবে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও কটাক্ষ করা হয়। তবে এর মহামারি পরিস্থিতিতে শাসকদলের কর্মী সর্মথকদের বিক্ষোভ এবং জমায়েতের নিন্দা করে বামেরা। সিপিএমের রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, এই মুহূর্তে করোনার মোকাবিলা করাই প্রধান কাজ। রাজ্যের মানুষ যে বিজেপি চায় না সেটা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকেও মনে করিয়ে দিতে চেয়ে লেখা হয়েছে, দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে বিজেপির মতো ভয়ঙ্কর শক্তির মোকাবিলা করা যায় না।