জেলা

বিজেপিকে আটকাতে সিপিএমকে গুরুত্ব, ২০২১ নির্বাচনে মাস্টারস্ট্রোক পিকে-র

প্রায় একক কৌশলে তিনি ২০১৪ সালে মোদীকে কুর্সিতে বসিয়েছিলেন। এবার তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কৌশলী। এবার মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে ভুল করে দলছুট হওয়া নেতাদের ফিরে আসার ডাক দিয়েছিলেন। তারপরই প্রশান্ত কিশোর তাঁর টিমকে নামিয়ে দেন বিরোধী দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতা-নেত্রীদের তৃণমূলে ফেরাতে। মুখ্যমন্ত্রীর ডাক শুনে ইতিমধ্যে অনেকেই ফিরে এসেছেন তৃণমূলে। প্রশান্ত কিশোর টার্গেট করেছেন বিরোধী দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকা নেতাদের। তাঁদেরকে তৃণমূলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতারা। রাজনৈতিক মহল কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের এই পরিকল্পনার পিছনে অন্য কোনও কৌশল রয়েছে বলে মনে করছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, সিপিএমের ভাবমূর্তি ঊজ্জ্বল করার প্রয়াস রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। শুধু তৃণমূলের সংগঠন বাড়ানোর প্রয়াস এটা নয়, বিজেপিকে আটকাতে সিপিএম তথা বামেদের ভাবমূর্তি ও প্রাসঙ্গিকতা ফেরানোও লক্ষ্য। সিপিএমের যে সমস্ত ভোট বিজেপিতে চলে গিয়েছে, তাদের যদি ফিরিয়ে আনা যায়, তাতে তৃণমূলের লাভ।