গুজরাতের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। আপাতত বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং, শুক্রবার ঘুর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা জারি হয়েছে। ফলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের। সরকারি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত গুজরাতের বন্যায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ বহু মানুষ। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এদিকে, বানভাসি ভাদোদরায় নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে কুমিরের উপদ্রব। গত কয়েকদিনে ১০ থেকে ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের একাধিক কুমির শহরের রাস্তা, পার্ক, বাড়ির বাইরে, এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখা গিয়েছে। ভাদোদরা শহরের মধ্যে দিয়েই বইছে বিশ্বামিত্র নদী। এই নদীতেই বসবাস শ’তিনেক কুমিরের। বিশ্বামিত্রর জলেই প্লাবিত হয়েছে শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ফলে, জলের তোড়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে কুমিরগুলি। রেঞ্জ ফরেস্ট অফিসার (আরএফও) রঞ্জিত সিং রাজপুত জানিয়েছেন, গত পাঁচদিনে ১০টি কুমিরকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে দু’টি কুমিরকে নদীতে ছাড়া হয়েছে। বিশ্বামিত্রর জল কমলে বাকিদেরও নদীতে ছাড়া হবে। এরই মধ্যে শুক্রবার একটি বাড়ির ছাদে কুমিরকে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে।রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এই জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কচ্ছ, জামনগর, মরবি, জামনগর, দ্বারকা এবং পোরবন্দর। বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। আর চার হাজার ২০০ জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।