তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন বুথ দখল করার ছক কষছে বিজেপি। সেই সঙ্গে তিনি এই অভিযোগও তুলেছিলেন যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো ও প্রভাব খাটানো হচ্ছে। সেই অভিযোগ যে কতখানি সত্যি সেটা হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া গেল এদিন। শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণের পালা। আর সেই সব কেন্দ্রে একাধিক বুথে উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বুথের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ। এইরকমই ১৫টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের তরফে এদিন যে ১৫টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার ও বিজেপিতে ভোট দেওয়ার আর্জি জানানোর যে অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৭টি বুথ রয়েছে বাঁকুড়া জেলায়, ৪টি বুথে রয়েছে পুরুলিয়ায়, ৩টি বুথ রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে ও ১টি বুথ রয়েছে ঝাড়গ্রামে। বাঁকুড়া জেলার যে ৭টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে সেগুলি হল রানীবাঁধ বিধানসভা কেন্দ্রের ১২, ৩৬ ও ৪১ নম্বর বুথ, শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯৬ ও ২১৫ নম্বর বুথ, রায়পুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪৬ নম্বর বুথ এবং ছাতনা বিধানসভা কেন্দ্রের ৩০ নম্বর বুথ। আবার পুরুলিয়াতে এই অভিযোগ উঠেছে যে সব বুথে সেগুলি হল রঘুনাথপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৭ ও ২৫৯ নম্বর বুথে, কাশিপুর বিধানসভার ১ নম্বর বুথে এবং বাঘমণ্ডীতে ২৬৭ নম্বর বুথে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার যে অভিযোগ উঠেছে সেগুলি ঘটেছে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১৭৮ ও ২০৪ নম্বর বুথে এবং দাঁতন বিধানসভা কেন্দ্রের ২৭ নম্বর বুথে। ঝাড়গ্রাম জেলায় এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে বিনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ২৪০ নম্বর বুথে। এদিন তৃণমূলের তরফে লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ মালা রায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বুথের মধ্যে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে তাঁরা অভিযোগ করেছেন আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়েও। তার মধ্যে যেমন তৃণমূলের কর্মীদের মারধর, তৃণমূল ভোটারদের বুথে ভোট দিতে যেতে না দেওয়া, বুথ জ্যাম করার ঘটনা রয়েছে তেমনি অভিযোগ রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, দোকান ভাঙচুর, বুথের মধ্যে তৃণমূলের এজেন্টকে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনাও।