জেলা

মাঝরাতে সাগর-সুন্দরবন সহ জেলাজুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব, ভাঙল বাড়ি-দোকান-গাছ

রবিবার মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল। মূল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার পর সাগরদ্বীপ-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সোমবার ভোর থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হওয়ার দাপটও। সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সকাল থেকেই ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। রেমালের তাণ্ডবলীলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ ৷ পাশাপাশি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদ্বীপ। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির প্রাঙ্গণে যে সব অস্থায়ী দোকান ছিল, সেসব দোকানই কার্যত ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙ্গে পড়েছে। এদিন সকাল থেকেই সুন্দরবনের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সব জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল সেখানেও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়েছে ৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরানোর কাজও শুরু করেছে তারা ৷ বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় সব ফেরি পরিষেবা এদিনও সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবাও।