ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শহর কলকাতা। তবে ভরা কোটালের জেরে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। সেই জল নামতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। দ্রুত জল নামাতে ম্যানহোল খুলে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকার। তবে বিপদ এড়াতে শহরের একাধিক এলাকার বিদ্যুত্ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করেছে CESC। এবার ঘাটে ঘাটে পুলিশের তরফে করা হচ্ছে মাইকিং। রাতেই আসতে পারে বান। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রতি মুহূর্তে। এই নিয়ে নদী বাঁধ সংস্কারে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডবে কলকাতার বেশিরভাগ অঞ্চল সুরক্ষিত থাকলেও রাতে বান আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তা কেন্দ্র করেই ঘাটে ঘাটে চলছে প্রচার। সর্বমঙ্গলা ঘাটে পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। রাতেই বান আসার কথা, তাই গঙ্গার কাছাকাছি কেউ যেন না যান সেই বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে চিত্পুর থানার তরফে। তবে শুধু কলকাতায় নয়, নদী তীরবর্তী হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনাতেও এভাবেই প্রচার করা হচ্ছে পুলিশের তরফে। এদিন সকালেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৩৪টি বাঁধ ভেঙে গেছে। ৫ ফুট অর্থাত্ মানুষ সমান উঁচু ঢেউ উঠেছে। অনেক গ্রামে জল ঢুকে গেছে। কিন্তু তাতেই রক্ষে নেই। রাতেও খুব সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার রাত জোয়ার থাকবে। আর তার মধ্যেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, বানের জল ঢুকতে পারে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। এদিকে নোনাজল ঢুকে যাওয়ায় কৃষির ক্ষতি হয়েছে। মত্স্যচাষেরও ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স তৈরি হবে। নদীবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আরও জোর দিতে হবে। গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর দিতে হবে।’