জেলা

শীতলকুচির গ্রামে এসে পৌঁছাল মৃতদেহ, ৪ সন্তানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গ্রাম

গতকাল শীতলকুচি বিধানসভা এলাকায় জোরপাটকিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের ৷ আজ সেই চারজনের মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে গ্রামে এসে পৌঁছায় ৷ মৃতদেহ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকেরা ৷ তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে তাঁদের শ্রদ্ধা জানানো হয় ৷ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছিলেন ভোটাররা ৷ কিন্তু হঠাৎই গুলির শব্দ ৷ ঝরে পড়ে চার চারটে তাজা প্রাণ ৷ আহত হন অনেকে ৷ অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানের গুলিতেই মৃত্যু হয় তাঁদের ৷ কিন্তু বারবার প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে গুলি করল তারা ৷ গুলি যদি করলই তো পায়ে কেন গুলি করল না? নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া পর্যবেক্ষককে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শীতলকুচি বিধানসভা এলাকার ওই জোরপাটকিতে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ টহল দিচ্ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ ৷ কিন্তু ওই সময় প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়৷ যারা আক্রমণ করে তারা ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় একটি শিশু পড়ে যায় ৷ আহত হয় ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় ৷ বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ পরে সিআইএসএফ-এর একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ৷ তখন শূন্যে ৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয় ৷ তখন জওয়ানরা ও পুলিশ সেখান থেকে সরে আসে ৷ তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয় ৷ কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ ভোটকর্মীদের মারধর করা হয় ৷ আশাকর্মী, হোমগার্ডদের হেনস্থা করা হয় ৷ সেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় শূন্যে ৷ তখন ঘটনাস্থলে যায় সিআইএসএফ-এর কুইক রেসপন্স টিমও ৷ এই অবস্থায় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় ৷ আর নিজেদের বাঁচাতে 7 রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন জওয়ানরা ৷ তাতেই চারজনের মৃত্যু হয় ৷ আহত হন কয়েকজন ৷ অন্যদিকে, পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছিল ৷ হঠাৎই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ৷