রোহিণী জেলা আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিআরডিও-র এক বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ৷ গত ৯ ডিসেম্বর দিল্লির রোহিণী আদালতে কম তীব্রতার একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ৷ অভিযোগ বছর ৪৭-র ডিআরডিও’র ওই বিজ্ঞানী আদালতে বোমা রেখেছিলেন ৷ এমনটাই দিল্লি পুলিশের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে ডিআরডিও’র ওই বিজ্ঞানী এবং তাঁর প্রতিবেশী আইনজীবীর মধ্য পুরনো শত্রুতা রয়েছে ৷ তাঁরা প্রতিবেশী এবং একই বিল্ডিংয়ে থাকেন ৷ এমনকি একে অপরের
বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন তাঁরা ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করেছেন কাটারিয়া ৷ ঘটনায় পরবর্তী তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ রাজধানীর পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানা আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ভারতভূষণ কাটারিয়া নামে ডিআরডিও-র ওই বিজ্ঞানীর উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী আইনজীবীকে শিক্ষা দেওয়া। পুলিসের দাবি, বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। কিন্তু বিস্ফোরণ ঘটাতে
যে ডেটোনেটরটি ব্যবহার করা হয়েছিল সেটিরই বিস্ফোরণ হয়েছে। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ হয়নি। তা যদি হতো তা হলে বিস্ফোরণের তীব্রতা আরও মারাত্মক হতো। বিস্ফোরক বহনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল একটি ল্যাপটপ ব্যাগ। সেটিতে ছিল মুম্বইয়ের একটি কোম্পানির ট্য়াগ। সেই কোম্পানি তদন্তে সাহায্য করছে। আইনজীবীর ভেস ধরে আদালত চত্বরে প্রবেশ করে ভরত ভূষণ। বিস্ফোরণের পর পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। খোঁখবর করে দেখা হচ্ছে কোথা থেকে ওই বিস্ফোরক পেয়েছিলেন ভরতভূষণ।