করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ লোকাল ট্রেন। ফলে কাজকর্মে যেতে পারছেন না নিত্যযাত্রী থেকে খেটে খাওয়া বহু মানুষ। গত সকালে লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে সোনারপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিলেন নিত্যযাত্রীরা। আজ ফের প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে অরবোধ, বিক্ষোভ লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর, ঘুটিয়ারি শরিফ, বেতবেড়িয়া ও মল্লিকপুর সহ একাধিক স্টেশন। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। মল্লিকপুর স্টেশনে বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট বৃষ্টি করা হয়। জখম হন রেলের এক আধিকারিক। করোনা রুখতে আংশিক লকডাউন চলছে গোটা রাজ্যে। বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন চলাচল। তাই নাভিশ্বাস উঠেছে নিত্যযাত্রীদের। কর্মস্থলে পৌঁছতে রেলের চালানো হাতেগোনা স্টাফ ট্রেনেই উঠে পড়তে চাইছেন তাঁরা। কিন্তু স্থান সংকুলান হচ্ছে না সেখানে। তাই ক্ষোভ বাড়ছে। ট্রেন চালানোর দাবিতে বুধবার যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে সোনারপুর স্টেশন। বৃহস্পতিবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মল্লিকপুর স্টেশনে। নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, বুধবার বিক্ষোভের পর ট্রেন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় বহু স্টাফ স্পেশ্যাল। ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। পরপর দু’দিন রেল অবরোধের ঘটনায় রীতিমতো বিব্রত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই লোকার চালুর কথা জানিয়ে নবান্নে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতিও শুরু করেছে রেল।