আরিয়ান খান মাদক মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড় ৷ এই তদন্তের নেতৃত্বে থাকা নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুললেন এক সাক্ষী ৷ তাঁর অভিযোগ, ব্যক্তিগত গোয়েন্দা কেপি গোসাভির সঙ্গে স্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির ১৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ৷ এর মধ্যে থেকে 8 কোটি টাকা যাওয়ার কথা ছিল ওয়াংখেড়ের পকেটে ৷ আরিয়ান খানের মুক্তির বিনিময়ে ২৫কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন শীর্ষ এনসিবি কর্তা ৷ তিনি এই অভিযোগের যোগ্য জবাব দেবেন বলে দাবি করেছেন ৷ আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হয়েছিলেন কেপি গোসাভি ৷ তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে নিজেকে দাবি করে প্রভাকর সেইল হলফনামা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, কেপি গোসাভির সঙ্গে স্যাম ডি’সুজার ১৮ কোটি টাকার একটি চুক্তি হয়েছিল ৷ তার থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল সমীর ওয়াংখেড়ের ৷ নগদ টাকা গোসাভির হাত থেকে পেয়ে স্যামের হাতে তুলে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন প্রভাকর ৷ ৬ অক্টোবর এনসিবির জারি করা প্রেস রিলিজে সাক্ষী হিসেবে নাম ছিল প্রভাকরের ৷ ২ অক্টোবর প্রমোদতরীতে এনসিবি হানার ঘটনার যে ৯ জন স্বাধীন সাক্ষীর উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যেই ছিল তাঁর নাম ৷ প্রভাকরের আরও অভিযোগ, এক মধ্যস্থতাকারীকে দিয়ে আরিয়ানের মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছিল ৷ তাঁকে সমীর ওয়াংখেড়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ প্রভাকরের ৷ গোসাভি নিখোঁজ বলে দাবি করে তিনি জানিয়েছেন, এই হলফনামা দেওয়ার জন্য তিনি নিজের জীবন নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ৷ যদিও এনসিবি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছে একটি সূত্র ৷ তাঁর দাবি, এনসিবির-র ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমন দাবি করা হচ্ছে ৷ অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে এবং সেখানেই দেখা যাচ্ছে যে, এ রকম কিছুই ঘটেনি ৷ এই হলফনামা বিশেষ এনডিপিএস আদালতে তুলে তার জবাব দেওয়া হবে বলেও এনসিবি জানিয়েছে, দাবি সূত্রের ৷ এই মামলায় এখনও আর্থার রোড সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান ৷ ২০ অক্টোবর ফের তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত ৷ মাদক মামলায় আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সূত্র পেয়ে চাঙ্কি পান্ডের কন্যা অনন্যা পান্ডেকেও দু‘দফায় জেরা করেছে এনসিবি৷