বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি যাতে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে এদিনের বৈঠকে। রাজ্যের সামগ্রিক বন্য়া পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। বিশেষ করে ঘাটাল, বাঁকুড়ার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নীতিকেই দায়ি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ফারাক্কায় ড্রেজিং হয়না। ফলে জলাধারের জল ধারণ ক্ষমতা কমে গিয়েছে। ডিভিসির জলাধারে ২ লক্ষ কিউসেক জল ধরার ক্ষমতা থাকলে বন্যায় ভাসতো না দক্ষিণবঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে কেন্দ্র নীতি বদল করুক। তিনি দাবি করেছেন, ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়া, হুগলির একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে রাজ্য়ের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি যাচ্ছে। তাঁরা নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে টাকা বরাদ্দ করার দাবি জানাবে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি সুন্দরবন এবং দিঘা মাস্টারপ্ল্যান তৈরির জন্যও দরবার করা হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ফরাক্কা জলাধারেরও ড্রেজিং করতে হবে, এখনও টাকা মেলেনি। তাই ৬টি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবে রাজ্যের প্রতিনিধিদল। ফরাক্কার জন্য কেন্দ্রের কাছে টাকা এখনও বকেয়া। এরই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।