পুরভোটে হাঙ্গামার অভিযোগে সোমবার ১২ ঘন্টা বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সেই বনধ চূড়ান্ত ভাবে প্রত্যাখান করেছেন বাংলার জনতা। এদিন নন্দীগ্রামেও বিজেপির সমর্থক ও কর্মীরা সেই বনধের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ করেন, বিক্ষোভ দেখান। তার মাঝেই বেলার দিকে টেঙ্গুয়াতে বিজেপির এক বিক্ষোভে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ডাকা বনধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।’ আর শুভেন্দুর সেই ঘোষণার জেরেই হুলুস্থূল পড়ে গেল বঙ্গ বিজেপিতে। অন্যদিকে বনধ নিয়ে দিলীপ ঘোষের গলায়ও এক ই সুর। দিলিপ ঘোষ এদিন বলেন, “বিজেপি নৈতিকভাবে বনধ সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এ ছাড়া প্রতিবাদের আর কোনও উপায় নেই। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো বনধের রাজনীতিকে জনপ্রিয় করেছেন বাংলায়। ” পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে বিজেপির ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ প্রসঙ্গে বললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণের সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই রবিবারের পুরভোট ও তার পরবর্তী পর্যায়ে বনধ ইস্যুভিত্তিক প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ” বাংলায় গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। পুলিশ প্রশাসন এক তরফা কাজ করছে। কোর্টও ওদের ওপর নির্ভর করছে। মানুষ ন্যায়ের জন্য কোথায় যাবে? বিজেপি নৈতিকভাবে বনধের সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এছাড়া কোনও রাস্তা থাকে না। তাই এই রাস্তায় আমাদেরকে হাঁটতেই হচ্ছে।”