টসিলিজুমাবকাণ্ডে বড়সড় পদক্ষেপ নিল স্বাথ্ব্য দফতর। কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অভিযুক্ত চিকিত্সক দেবাংশী সাহাকে। আপাতত তাঁকে পাঠানো হয়েছে কোচবিহারের শীতলকুচির এক প্রাথমিক স্বাথ্ব্যকেন্দ্রে। দিন কয়েক আগেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকার জীবনদায়ী ওষুধ সরানোর ঘটনায় জড়িত হয় চিকিত্সক এবং মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাংশী সাহা এবং দায়িত্বে থাকা এক সিস্টারের নাম। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে স্বাথ্ব্য দফতর। তারা তড়িঘড়ি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে শুরু করে জোরকদমে তদন্ত। আর তারা তদন্তের রিপোর্ট জমা দেয় স্বাথ্ব্য ভবনে। আর ওই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই ডা. দেবাংশী সাহাকে মেডিকেল কলেজ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গে ওষুধ সরানোর কাজে জড়িত থাকা সিস্টারের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা গেছে, দিন কয়েক আগে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা দামের ২৬ টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন। বেআইনিভাবে হাতানাের অভিযােগ ওঠে ডা. দেবাংশী সাহার বিরুদ্ধে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয় সােস্যাল মিডিয়ায়।এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি কেন এই লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধ চুরি করেছিলেন ডা. দেবাংশী সাহা, আর সেগুলি এখন কোথায়। ঠিক কার প্রভাবে ডা. দেবাংশী সাহা এত গুলি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন সরিয়েছিল তা খতিয়ে দেখার জন্য চিকিৎসকদের একাংশ চাপ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যদফতরের উপর।