দেশ

৭ বছরের ঊর্ধ্বে শিশুদেরও দেওয়া যাবে কোভিশিল্ড, অবশেষে ট্রায়ালের অনুমতি পেল সেরাম ইনস্টিটিউট

১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোভিশিল্ড টিকা দেওয়ার নিয়ম ছিল এতদিন। বাচ্চাদের শরীরে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও জাইদাস ক্যাডিলার টিকার ট্রায়াল শুরু হলেও অনুমতি পায়নি পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। এতদিন অপেক্ষার শেষ হল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তৈরি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শ অনুসারে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) শিশুদের ওপরেও কোভিশিল্ড টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিল। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে, ৭ বছর থেকে ১১ বছর বয়সীদের শরীরেও কোভিশিল্ড টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা যাবে। প্রতিবার ট্রায়ালের পরে সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা করতে হবে ড্রাগ কন্ট্রোলের সাবজেন্ট এক্সপার্ট কমিটিকে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বাচ্চাদের শরীরে টিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই টিকা নিয়ে আসার অনুমতি দেওয়া হবে। কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি ছড়াতে পারে বলে আগে থেকেই সতর্ক করা হচ্ছে। তাই খুব তাড়াতাড়ি শিশুদের টিকার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় প্যানেল। শিশু ও কমবয়সীদের শরীরে ভ্যাকসিনের পেডিয়াট্রিক ট্রায়াল করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেককে। ২ বছরের ওপরে শিশুদের শরীরেও টিকার ক্লিনিকাল ট্রায়াল হচ্ছে। দিল্লি এইমসের প্রধান ডক্তর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, বাচ্চাদের টিকাকরণ ৯ মাসের মধ্যেই সেরে ফেলা যাবে। টিকাকরণ দ্রুত করতে হলে তার পর্যাপ্ত জোগানও থাকা চাই। দেশে এখন শিশুদের জন্য কোভিড টিকা আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে দুটি কোম্পানি – ভারত বায়োটেক ও জাইদাস ক্যাডিলা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনুসখ মাণ্ডবিয়া সংসদে কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, এ বছরের শেষের মধ্যে সব প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিষেধক দেওয়া যাবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, ভারত বায়োটেক বা জাইদাস ক্যাডিলার মতো ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা দু’ধরনের টিকার জন্যই পর্যাপ্ত ডোজ বানাচ্ছে। তারা ইতিমধ্যেই ছোটদের ও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কত টিকা বানানো হবে, সেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে নিয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পরে সেরামও টিকার উত্‍পাদন আরও বাড়াবে।