পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মাদক পাচারে ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মহিলাদের। আর মহিলাদের হাতিয়ার করে শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে মাদক পাচারের পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশ। শিলিগুড়িতে পুলিশ ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের যৌথ প্রচেষ্টায় দুটি পৃথক অভিযানে তিন মহিলা সহ গ্রেফতার ৬ পাচারকারী। উদ্ধার দেড় কোটির মাদক ৷ মহিলাদের মাদক পাচারে ও মাদক বিক্রিতে ব্যবহার করায় উদ্বেগে পুলিশ প্রশাসন। এই বিষয়ে শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাকেশ সিং বলেন, “দুটি অভিযানে ৬ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ শিলিগুড়িতে মাদক পাচারের ছক ছিল। ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে প্রথম অভিযানে প্রায় ৬০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার সমেত চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও এনজেপি থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। পাচারকারীদের পরিকল্পনা ছিল মালদা থেকে ওই ব্রাউন সুগার এনে শিলিগুড়িকে করিডোর করে কোচবিহারে পাচার করা। তবে তার মাঝে হাতবদলের পরিকল্পনা ছিল পাচারকাারীদের। কিন্তু তার আগেই এক মহিলা-সহ চার জন গ্রেফতার করে এসওজি ও এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৬০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। যার বাজার মূল্য প্রায় 50 লক্ষ টাকা। মালদা থেকে সায়েম শেখ, আনোয়ার শেখ ও সুভাষ বর্মন নামে তিন পাচারকারী ওই মাদক নিয়ে কোচবিহারে পাচারের উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি সংলগ্ন পোড়াঝার এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে কোচবিহারের বাসিন্দা সুমিত্রা বর্মন নামে আরেক ক্যারিয়ারের হাতে ওই মাদক তুলে দেওয়ার সময়েই তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতদের গ্রেফতার করে এনজেপি থানা নিয়ে আসা হয় ৷ শুক্রবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, এদিন রাতেই আরেক অভিযানে কোটি টাকার মাদক-সহ দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও বাগডোগরা থানার পুলিশ। বাগডোগরা বিমানবন্দর সংলগ্ন জাতীয় সড়কে সন্দেহভাজন দুই মহিলাকে আটক করে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় 902 গ্রাম ব্রাউন সুগার। সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করা হয়।