অল্প দিনেই সাফল্যের মুখ দেখেছে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। কিন্তু সেই সঙ্গে অসংখ্যক জালিয়াতি, ফর্ম বিলি নিয়ে বেনিয়ম, ফর্ম পূরণের নামে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বস্তিতে রাখছে নবান্নকে। এই অবস্থায় একের পর এক কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে নবান্ন। সোমবার নতুন করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জেলাশাসকদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার ফর্ম পূরণের সঙ্গে কোনও ভাবেই পঞ্চায়েত সমিতি বা ক্লাব সদস্যদের যুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজন হলে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী বা কলেজ পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির যে প্রকল্পই হোক না কেন, তাতে যেন কোনও ভাবেই ক্লাব, পঞ্চায়েত বা পুরসভার হস্তক্ষেপ না থাকে। সোমবার এই মর্মে জেলায় জেলায় প্রশাসনের কাছে নির্দেশ গিয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, ফর্ম ফিলআপের কাজে পঞ্চায়েত সমিতি বা ক্লাব সদস্যদের কোনও ভাবেই যুক্ত করা যাবে না। কারণ পুরোটাই বেআইনি। সূত্রের খবর, জেলাশাসকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, যদি একান্তই সাহায্য দরকার পড়ে তবে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী বা কন্যাশ্রীদের ব্যবহার করুন। এমনকী, খুব দরকার হলে কলেজে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদেও কাজে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য বা ক্লাবের সদস্যদের ‘নো-এন্ট্রি’।