ডিভিসি-র ছাড়া জলে রাজ্যের একাধিক জেলা প্লাবিত হল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিভিসি শুক্রবার জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে ডিভিসির বিভিন্ন জলাধার থেকে। মাইথন থেকে ৮০ হাজার কিউসেক ও পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কয়েকটি জেলায়। যা নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালেই তিনি জানালেন, ‘এটা ম্যান মেড ফ্লাড। ঝাড়খণ্ডে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। না জানিয়ে জল ছেড়েছে। সেই জন্যই বন্যা হচ্ছে’। সূত্রের খবর তিনি আকাশপথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন। সূত্রে খবর, শনিবার আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, পুরুলিয়া, বাকুঁড়া, হাওড়া ও হুগলির বিভিন্ন এলাকা হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করবেন তিনি। পাশাপাশি ঘুরে দেখবেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের বিভিন্ন বন্য়া কবলিত এলাকাও। তার আগেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিভিসি-কে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, জল ছাড়ার আগে রাজ্যকে জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কত বার বলেছি, না-বলে জল ছাড়বেন না । বলতে বলতে হতাশ হয়ে যাচ্ছি । না-জানিয়ে রাত ৩টের সময় যদি জল ছেড়ে দেয়, তাহলে তো মানুষ ঘুমন্ত অবস্থাতেই ভেসে যাবে । এটা পাপ । এটা অপরাধ । আগে থেকে জানলে তো আমরা মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারি ।” মমতার তোপ, “জল ছেড়ে কেন বন্যা ঘটাবে ? ঝাড়খণ্ডের বোঝা আমরা কেন নেব ?” তিনি আরও বলেন, ঝাড়খন্ড, বিহারে বন্যা হলে আমাদের সামাল দিতে হচ্ছে। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পাঞ্চেৎ, মাইথন তেনুঘাটে বহুদিন ড্রেজিং করায় নি ডিভিসি। এর জেরেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এটা ম্যান মেড ফ্লাড।বানভাসি এলাকার মানুষদের কাছে প্রশাসনের সব রকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি ।