পর পর ছ’বার কেঁপে উঠেছে মায়ানমার। শুক্রবার সবচেয়ে জোরালো ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটর স্কেলে ৭.৭। আর তার জেরেই প্রায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে দেশের বড় অংশ। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৪। আহত অন্তত ৭৩২ জন। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। কম্পনের আঁচ পড়েছে তাইল্যান্ডেও। তবে মায়ানমারে বিপর্যয় অনেক বেশি। সেখানে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছেন জুন্টা প্রধান মিন আং হলাইং। সকল দেশ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত মায়ানমার। তার মধ্যে এই ভূমিকম্প বিপত্তি বৃদ্ধি করেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী নেপিদ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র ছিল মায়ানমারের বার্মার ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। তার পর আরও পাঁচটি ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। চলেছে আফটারশক। সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, নেপিদর হাসপাতালগুলিতে উপড়ে পড়েছে ভিড়। প্রধানমন্ত্রী পায়েটংটার্ন শিনাবাত্রার শুক্রবার ফুকেতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সরকারি সফর তিনি বাতিল করে প্রশাসনিক কর্তাদের জরুরি বৈঠকে বসেন। তার পরেই তাইল্যান্ডের রাজধানীতে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়।
