খেলা

টাইব্রেকারে জিতে ১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল –  (২)

নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি –  (২) 

রুদ্ধশ্বাস লড়াই। দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। জোড়া গোল হজম করেও ২-২। ম্যাচের অন্তিমলগ্নে নন্দকুমারের গোলে খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল। ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ০-২ গোলে পিছিয়ে থাকার পর অবিশ্বাস্য কামব্যাক। ৭৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। আট মিনিট অতিরিক্ত সময় দেন রেফারি। ৯০+৭ মিনিটে এল সেই মহেন্দ্রক্ষণ। লাল হলুদ জার্সিতে সবচেয়ে মূল্যবান গোল করলেন নন্দকুমার। সেখানেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য। টাইব্রেকারে ইস্টবেঙ্গলের পাঁচজনই গোল করে। সেই তালিকায় রয়েছেন ক্লেইটন, ক্রেসপো, বোরহা, মহেশ, নন্দকুমার। অন্যদিকে নর্থ ইস্টের হয়ে মিস করেন পার্থিব গোগোই। গোল করেন ইবসান, গনি নিগম, প্রজ্ঞান গোগোই। ভিলেন থেকে হিরো কার্লেস কুয়াদ্রাত।‌ ম্যাচ শেষে ডাগআউটে আবেগে ভাসেন স্প্যানিশ কোচ। নিশ্চিত হারের মুখ থেকে জয়ের সরণিতে। গ্যালারিতে জ্বলল মশাল। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করার সুনাম রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।  যার ফলে আবার ফিরতে পারে ১৯ বছর আগের সেই রাত। ২০০৩-০৪ মরশুমে দিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে ডুরান্ড ফাইনালে শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। দু’দশক পর রবিবার আবার ফাইনালে ডুরান্ড ডার্বির সম্ভাবনা। বড় ম্যাচের অপেক্ষায় শহরের আপামর ফুটবলপ্রেমী। সেটা হতে হলে বৃহস্পতিবার অন্য সেমিফাইনালে এফসি গোয়াকে হারাতে হবে মোহনবাগানকে।  ম্যাচের শুরুতেই কার্লেস কুয়াদ্রাতের রক্ষণাত্মক মনোভাব প্রকট। একা সিভেরিওকে সামনে রেখে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে দল সাজান লাল হলুদের স্প্যানিশ কোচ। শৌভিক এবং বোরহার জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরেন মন্দার রাও দেশাই এবং অ্যান্তনিয় পার্দো লুকাস। শুরুতে তাতেই ভরাডুবি। মাঝমাঠে বল ধরে খেলার কেউ ছিল না। নর্থ ইস্ট এমন কিছু আহামরি দল নয়। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে নেতিবাচক মনোভাব অবাক করে। শুরুতে ছন্নছাড়া ফুটবল ইস্টবেঙ্গলের। বিপক্ষের বক্স পর্যন্ত পৌঁছতেই পারছিল না লাল হলুদের ফুটবলাররা। ম্যাচের প্রথম আধ ঘণ্টায় কলকাতার ক্লাবের একমাত্র সুযোগ ১৪ মিনিটে। পার্দোর শট বাঁচায় নর্থ ইস্ট কিপার মির্শাদ। ম্যাচের ২২ মিনিটে এগিয়ে যায় নর্থ ইস্ট। ফালগুনীর ক্রস থেকে গোল করেন মিগুয়েল জাবাকো। প্রথমার্ধে সমতা ফেরানোর মতো কোনও মুভ তৈরি করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।