শিলিগুড়িঃ আজ শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে নির্বাচনী জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গোর্খাদের আমি সম্মান করি। আমি পাহাড়ের উন্নতি চাই। পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের মেলবন্ধন ঘটানোই আমার লক্ষ্য। মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়-সমতলের মেলবন্ধনের লক্ষ্যেই আমি পাহাড়ের ভূমিপুত্র অমর সিং রাইকে প্রার্থী করেছি। পাহাড়ের প্রার্থী আর সমতলের প্রতীক, আমাদের মেলবন্ধনের সূত্রপাত এখান থেকেই শুরু হয়েছে। তা চলবে আরও দীর্ঘদিন। এখান থেকে এবার আমরাই জিতব, পাহাড়কে নিয়ে একসঙ্গে উন্নয়নের কাজ করব। মমতার অভিযোগ, একটা পার্টি দিল্লিতে বড়বড় কথা বলে, আর পাহাড়ে এসে বিভাজন করে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতে চলে যায়। তারপর পাঁচ বছর আর পাহাড়ে তাদের দেখা মেলে না। পাহাড়ের উন্নতির কথা ভাবে না। এবার তাই ভূমিপুত্রকে জেতান। পাহাড়ের আরও উন্নতি করার সুযোগ দিন আমাদের। এভাবেই পাহাড়বাসীর কাছে ভোটের আবেদন জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ে আগুন জ্বালানো ছাড়া বিজেপি গত পাঁচ বছরে কিছু করেননি পাহাড়ের জন্য। পাঁচ বছর আগে চিঠি লিখেছিলাম কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। শুধু বিভাজন করেছে। আগুন জ্বালিয়েছে পাহাড়ে। যাঁদের সমর্থন নিয়ে বিজেপি পাহাড়ে বিভাজন ঘটিয়েছেন সেই বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা টাকা কামিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। পালিয়ে গিয়েছেন দিল্লির লোকও (সাংসদ)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আমি রাজ্যের তরফ থেকে যা যা উন্নতি করার সব করেছি। নতুন জেলা হয়েছে, নতুন মহকুমা হয়েছে, পলিটেকনিক কলেজ হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েও পাইনি পাহাড়ের জন্য। রাজ্য সরকার পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। কার্শিয়াংয়ে এডুকেশন হাব তৈরি করছে রাজ্য সরকার। তিনি এও বলেন, রাম নবমী উপলক্ষ্যে বিজেপি সভাপতির তলোয়ার হাতে নিয়ে বলেছেন, মানুষকে রক্ষার জন্য অস্ত্র হাতে নিয়েছি। তারপরেই শিলিগুড়ির সভা মঞ্চ থেকে নাম না করে বিজেপি নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রামনবমীর নাম করে অনেকেই তরোয়াল, গদা হাতে তুলে নিয়ে ভোট চাইছে। এই কালচার বাংলায় চবে না। এঁদের বাইরে গেরুয়া ভেতরে কালো। এভাবে ভোটে জেতা যায় না। বিজেপি ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। তৃণমূল ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না।’