সঞ্জয় রায়চৌধুরী, কলকাতাঃ আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হবার পর আজ শনিবার তাদের বিশেষ কার্যকরী বৈঠক সম্পন্ন হল আলিপুর ন্যাশনাল লাইব্রেরীর ভাষাভবনে। ওই বৈঠকে ভারতীয় জনতাপার্টির দক্ষিণবঙ্গের প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় প্রতিনিধিদের পরিচয় করানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ২৮টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও আগামী ২৫-২৬ মার্চের মধ্যে বাকি ১৪ টি আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়ে যাবে জানান নেতৃবৃন্দ । বৈঠকের শুরুতে বর্ধমানের সিপিআইএম নেতা আইনুল হক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন। প্রায় দেড়শ জন যোগদান করেন বিজেপিতে আজ এই অনুষ্ঠানে। এর পাশাপাশি বিজেপিতে যোগ দিলেন ফ্যাশান ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পাল, পদ্ম শিবিরে মেদিনীপুরের প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য
সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে জানান, রাজ্যে আইনের প্রশাসন নেই । প্রশাসনের উপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই । ইতিমধ্যেই তাদের ৫৩ জন কার্যকর্তা শহীদ হয়েছেন। লোকে প্রশ্ন করছে – ভোট দিতে পারব তো? তাদের আশ্বস্ত করে দিলীপবাবু বলেন – আপনি আপনার ভোট দেবেন। আপনার ভোট নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। যারা এ নিয়ে আপত্তি করছে, তারা দিকভ্রান্ত, হতাশাগ্রস্ত হয়ে গেছে। আগে মানুষ কানে কানে বলতেন– আমরা আছি। এখন সোচ্চারে বলুন , “জয় শ্রীরাম” । যে মাধ্যমে তৃণমূল জিতেছিল সেই মাধ্যমে আমরা জেতার জন্য লড়াই করছি বলে তিনি জানান। তিনি চান , দেশে রাষ্ট্রবাদী বিচারধারা প্রবাহিত হোক । প্রার্থীদের তিনি সচেতন করে বলেন – ভোটের পরে কেউ যেন না বলতে পারে যে বিজেপি আমাদের কাছে আসেনি। দেশের ভবিষ্যৎ
উজ্জ্বল করার জন্য সবাই বিজেপিকে ভোট দেবেন । তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস–মোদিজী প্রধানমন্ত্রী হবেন , ২৩ তারিখে ২৩ টি আসনেই জিতবেন তাঁরা। এবারের ভোট পর্ব যে রাজ্য বিজেপির কাছে এক বড় ‘চ্যালেঞ্জ’ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই কারণ বিরোধীদের পর্যদুস্ত করতে সাবধানে পাফেলতে হবে। বিশেষ করে এবারের লোকসভা নির্বাচনে যে সকল আসন গুলি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে গেরুয়া রঙের বিস্তারে, সে ধরনের কিছু আসনের প্রার্থীদের ডেকে শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে এই বৈঠকে একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয় দলের উর্ধ্বে কেউ নয়। দল যাকে যেখানে প্রার্থী করবে তাকে সেখান থেকে জিতিয়ে আনতে হবে সর্বস্তরের দলীয় কর্মীদের। এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উত্তরের প্রার্থী রাহুল সিনহা, অনুপম হাজরা, দেবশ্রী চৌধুরী, মুকুল রায়, দলের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, ভারতী ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয় ,শিব প্রকাশ মেনন, রূপা গাঙ্গুলী,সায়ন্তন বসু ,চন্দ্র বসু, শমীক ভট্টাচার্য, দেবজিৎ সরকার সৌমিত্র খান প্রমুখ।