হক জাফর ইমাম, মালদাঃ মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার ২০১৯-২০ সালের বাজেট পেশ ও এক গুচ্ছ প্রকল্পর ঘোষণা করলো বর্তমানে তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পৌরসভায়। ২১০ কোটি ৪৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৫৫ টাকার বাজেট পেশ করেন মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষ । গতবারের বাজেট ছিল ২০৮ কোটি টাকা । এবারে দুই কোটি টাকার বেশি বেড়েছে। তবে এদিনের বাজেট বৈঠকে দেখা যায় নি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরীকে। তবে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের বিজেপি , সিপিএমের কাউন্সিলেরা। ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন চেয়ারম্যান নিহার রঞ্জন ঘোষ । তিনি বলেন, পুরসভার নতুন সংযোজিত এলাকার জন্য ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বস্তি উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পানীয় জল ও নিকাশি ব্যবস্থা ওপরেও। চেয়ারম্যান বলেন, বাজেট পেশের দিন বিধবা এবং ৬০ বছর হয়ে গিয়েছে
এমন বৃদ্ধাদের পুরকর মুকুব করার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। যে সব মহিলাদের বয়স ৬০ বছর হয়ে গিয়েছে। তাদের নামে যদি সম্পত্তি থাকে । সেই সম্পত্তির পুরকর মুকুব করে দিবে পুরো কর্তৃপক্ষ। বিধবাদের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত হয়েছে । ২০১৯ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে পুরসভা। কিছু কারিগরি সমস্যার কারণে পানীয় জল প্রকল্পের কাজ দেরিতে হচ্ছে।চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষ আরও বলেন, পুরসভার একটি বড় সমস্যা হচ্ছে শহরের জঞ্জাল ফেলার নতুন ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা। সেটির স্থায়ী সমস্যা এখনো মেটে নি । জঞ্জাল ফেলার জন্য ইংরেজবাজারের মহদীপুরের কাছে যে জমি কিনে রেখেছিল পৌরসভা। সেই জায়গায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি নিয়ে আপত্তি উঠেছে। এরফলে নতুন জায়গা খুঁজতে হচ্ছে পুরসভাকে । খুব শীঘ্রই বিকল্প জায়গা খুঁজে জঞ্জাল ফেলার সমস্যা দূর করবে পুরসভা। মালদা শহরের রাস্তাঘাটকে ভালো করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নিকাশি ব্যবস্থার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্র অ্যাভিনিউ পর্যন্ত নিকাশি নালা তৈরীর জন্য প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে । টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর খুব শীঘ্রই সেই কাজটি শুরু হবে।চেয়ারম্যান বলেন, ইংরেজবাজার পৌরসভার অধীনে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি মালদা শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খেলার মাঠগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য জোর দেওয়া হবে। তবে গ্রামীণ এলাকায় মিউটেশন ফি মুকুব করে দেওয়া হলেও, শহর এলাকায় মিউটেশন ফি মুকুব করা হচ্ছে না বলে এদিন জানিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান বাবলা সরকার।