কোচবিহারঃ আবার যদি কেন্দ্রে বিজেপির সরকার গড়ে তাহলে হয়ত আম্বেডকরের করা সংবিধান সম্পূর্ণ বদলে দেবে ওরা। দেশে কোনও সংবিধানই রাখবে না।’ আজ কোচবিহারের মাথাভাঙায় দলীয় প্রার্থী পরেশচন্দ্র অধিকারীর হয়ে প্রচারে গিয়ে এই মন্তব্যই করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশাল এই জনসভা থেকে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘এই চৌকিদার ঝুটা হ্যায়। পাঁচবছর আগে বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে বিদেশ থেকে সব কালো টাকা নিয়ে এসে প্রতিটি দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে। ভোট নিয়েছে ধাপ্পা দিয়ে। ভোটের পর চাওয়ালা নতুন করে চৌকিদার সেজেছে।‘ দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর একটি সাক্ষাত্কারের অংশ উল্লেখ করে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই সরকার আবার ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষ তাঁর সত্ পথে রোজগারের টাকাও নিজের ইচ্ছে মতো ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারবেন না। বিজেপিই ঠিক করে দেবে সেই পরিমাণ। তিনি বলেন, এটা বাংলার নির্বাচন নয়। সারা দেশের ভোট। অথচ মোদিবাবুরা এখানে এসে বলছেন, বাংলায় কী উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়কে উত্যক্ত করে বাংলার সঙ্গে পাহাড়ের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল। রাজবংশী ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, গত পাঁচ বছরে রাজবংশী বা কামতাপুরীর মানুষদের কথা ভাবার সুযোগ পায়নি বিজেপি। অথচ তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজবংশী, কামতাপুরী, আদিবাসী, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি সবাকেই সুবিধা দিয়েছে। তৃণমূলনেত্রী এদিন আবারও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় কোনও মতেই তিনি এনআরসি হতে দেবেন না। বাংলার সংস্কৃতি কাউকে তাড়াতে উত্সাহ দেয় না। অসমের মানুষদেরও আশ্রয় দেবে তাঁর সরকার। তিনি এও বলেন, এনআরসি-র নাম করে অসমে ২২লক্ষ হিন্দু বাঙালি, ২৩লক্ষ মুসলিমের নাম সহ পাহাড়ি জনজাতির নামও বাদ দিয়েছে বিজেপি। এনআরসি লাগুর অর্থ, আগামী ছয় বছরের জন্য নাগরিকত্বের যাবতীয় সুযোগসুবিধা অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া। নমো টিভি, মোদির জীবনকাহিনী নিয়ে তৈরি ছবি নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।