রাজ্যের ২০টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে এক যোগে অভিযান চালাল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমার কাঁকসা ব্লকের দুটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং দুর্গাপুরের বিজড়াতে একটি মেডিক্যাল কলেজে ভোর থেকে ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর হার্ডডিক্স-এর ক্লোন ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ইডি নিয়ে যায় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য রাজ্যের এই সমস্ত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এনআরআই কোটায় ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভর্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই। তারই তদন্তে নেমে এই ২০টি কলেজে একযোগে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকরা ৷ তবে সূত্র মারফত আরও জানা যাচ্ছে, এই কলেজগুলির মালিকানার ক্ষেত্রে কোন কোন প্রভাবশালীরা রয়েছেন সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। এই কলেজগুলির মালিকানার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জড়িত থাকা নিয়েও তদন্ত করছেন ইডি আধিকারিকারা এমনটাও জানা যাচ্ছে। শিক্ষা নিয়োগ, পুর নিয়োগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চলেছিল আগেই। এবার ডাক্তারিতেও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মঙ্গলবার ভোর থেকে দুর্গাপুরের শোভাপুর সংলগ্ন একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, কাঁকসার মলানদিঘীর বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও কাঁকসার রাজবাঁধের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চলে। সঙ্গে মলানদিঘীর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মালিক পার্থর বিধাননগরের বাড়িতে ও রাজবাঁধের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মালিক রনীন্দ্রনাথ মজুমদারের পানাগড়ের বাড়িতেও এই অভিযান চলে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, প্রবাসীদের (এনআরআইদের) জন্য সংরক্ষিত ডাক্তারি পড়ুয়ার আসন জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। ম্যারাথন অভিযানে শেষমেষ ইডি আধিকারিকদের হাতে দুর্নীতির প্রমাণ হিসাবে কী কী তথ্য উঠে এল, এখন সেটাই দেখার। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে দুর্গাপুরের তিনটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনও কথাই সংবাদমাধ্যমের সামনে জানানো হয়নি।