ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করার প্রক্রিয়ায় বাতিল হল ৬০০ এপিক কার্ড ৷ আগেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল রাজ্য প্রায় ১০ হাজার ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড রয়েছে ৷ এবার সেখান থেকে ছ’শো এপিক নম্বর বাতিল করল কমিশন ৷ জানা গিয়েছে, এই একই এপিক নম্বরের কার্ড রয়েছে হরিয়ানার ভোটারদের নামে ৷ এরই মধ্যে 28 মার্চ অর্থাৎ, শুক্রবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে এই ভূতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই বৈঠক হবে ৷ ওই দিন রাজ্যের আটটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ তবে, যে 10 হাজার ডুপ্লিকেট এপিক নম্বরের কার্ডের হদিশ মিলেছে এরাজ্যে, সেগুলির সমাধান কীভাবে হবে ! বিশেষত, যে ৬০০ টি কার্ড সম্প্রতি বাতিল করেছে কমিশন, তার কী হবে ! কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এপিক কার্ড সংশোধনের ক্ষমতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন জেলাস্তরে ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের হাতে দেওয়ার পরে এই ত্রুটি সামনে এসেছে ৷ সেই মতো ভুল সংশোধনের কাজও শেষ হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত একজন ভোটারের যাবতীয় তথ্য দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পোর্টালেই আপলোড করা থাকতো ৷ সেই তথ্য একমাত্র জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরাই দেখতে পেতেন ৷ কিন্তু, সম্প্রতি নতুন এক পরিষেবা চালু করা হয়েছে কমিশনের তরফে ৷ যার ফলে এবার থেকে দেশের প্রত্যেক রাজ্যের ইআরও’রা সেই তথ্য দেখতে পারবেন ৷ এপিক কার্ডের ডুপ্লিকেশন থাকলে সেগুলিকে সংশোধন করতে পারবেন ৷ এই ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের এপিক নম্বর মিলিয়ে দেখা হবে এবং যে রাজ্যে প্রথম ওই নির্দিষ্ট এপিক নম্বর দেওয়া হয়েছে, সেখানকার এপিক নম্বরকে বৈধ ধরা হবে ৷ বরং যেই রাজ্য পরে ওই একই এপিক নম্বর ব্যবহার করেছে, সেই রাজ্যের নির্দিষ্ট ভোটারকে নতুন এপিক নম্বর-সহ কার্ড দেওয়া হবে ৷ তবে, এই ক্ষেত্রে ভোটারকে কিছুই করতে হবে না ৷ নতুন এপিক কার্ড তৈরি করে কমিশনের তরফে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ উল্লেখ্য, নতুন এপিক কার্ডের নম্বর বদল ইআরও নিজেই করতে পারবেন ৷
