একবার করোনায় আক্রান্ত হলে আর প্রয়োজন নেই টিকাকরণের। একদল জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন অনুযায়ী, যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের অন্তত ৩ মাস অপেক্ষা করা উচিত ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। কারণ করোনার পরে শরীরে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু একদল জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিচ্ছেন, যাঁরা একবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের আর প্রয়োজন নেই ভ্যাকসিন নেওয়ার। এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে রয়েছেন এইমসের চিকিৎসকরা এবং কোভিড-১৯ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরাও।
এই প্রসঙ্গে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক –
🔴 করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে ইতিমধ্যেই দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা উঠে এসেছে। দিল্লি এইমস এই নিয়ে একটি গবেষণাও করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভ্যাকসিনের একটি বা দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্ত হলে তার বিপদের সম্ভাবনা কিছুটা কম থাকে। তবে এর কোনও নিশ্চয়তা নেই যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কেউ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হবেন না।
🔴 ভারতের বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট অনুযায়ী, একবার করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির উপর ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরী তার যথেষ্ট তথ্য নেই। রিপোর্ট বলছে, “যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে একবার তাঁদের আর টিকার প্রয়োজন নেই। সংক্রমণের পরেও টিকা দিলে তা কার্যকরী হবে, গবেষণায় এমন উঠে এলে তাঁদের টিকা দেওয়া যেতে পারে”।
🔴 ভ্যাকসিন দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই হলো সংক্রমণের প্রভাব যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যাঁরা একবার আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের থেকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যাঁদের একবারও হয়নি। কারণ যাঁরা একবার সংক্রমিত হয়েছে তাঁদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। ভারতের এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট এমনই দাবি করছে।
🔴 পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার ব্যাপারে ল্যান্সেটের গবেষণা বলছে, প্রথম বার সংক্রমিত হওয়ার থেকে ১০ মাস পর্যন্ত নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন যাঁরা একবার সংক্রমিত হয়েছে তাঁদের এবং যাঁরা হয়নি তাঁদের অ্যান্টিবডির উপর একটি সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।