১০০ কোটি ডোজের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। দৈনিক সংক্রমণও নিম্নমুখী। কিন্তু, উৎসবের মরসুমে করোনাবিধি পালনে শিথিলতা করলেই বড় বিপদে পড়তে হবে। এ দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীকে সেকথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, ‘দেশ এখন বড় স্বপ্নপূরণ ও সফলে সক্ষম। কিন্তু নিয়ম ভাঙলে চলবে না। রক্ষাকবচ যতই দৃঢ় ও আধুনিক হোক যুদ্ধ চলাকালীন অস্ত্র নামানো যাবে না। উৎসব সতর্কতার সঙ্গেই পালন করতে হবে। মাস্ক পড়াটা জীবনের অঙ্গ করে তুলুন।’ টিকাকরণে ১০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার বিষয়টিকে শুধু সংখ্যাতত্ত্বের নজিরে নয়, দেশবাসীর সাফল্য বলে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। টিকাকরণের এই হারকে ‘দেশের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলে দাবি করেন মোদী। টিকাকরণের শুরুতে বহু প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সংখ্যাই বলে দিচ্ছে টিকাকরণে সফল ভারত। অর্থাৎ, টিকাকরণের বিষয়টি সমালোচকদের সব জবাব দিয়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
একনজরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
- দেশের সাফল্য: ‘অক্টোবরের ২১ তারিখ পর্যন্ত ভারতে ১০০ কোটির উপর কোভিডের টিকাকরণ হয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে ১৩০ কোটি দেশবাসীর শক্তি। অর্থাৎ এটা গোটা দেশের, আমাদের প্রত্যেকের সাফল্য। এটা শুধু সংখ্যা নয়, আমাদের দেশের ক্ষমতার প্রতিফলন।’
- কোভিডের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই: ‘বিশ্বে মহামারী আঙাত হানতেই এর বিরুদ্ধে লড়াই, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের ক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। যাইহোক ১০০ কোটি ডোজের টিকাকরণ এইসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে।’
- টিকা ও ভিআইপি সংস্কৃতি: ‘আমাদের কাছে গণতন্ত্র মানে সব কা সাথ। সংক্রমণে ভাইরাস যদি বৈষম্য না করে তাহলে টিকাকরণেও কোনও বৈষম্য হওয়া উচিত নয়। টিকাকরণে তাই কোনও ভিআইপি সংস্কৃতির ছোঁয়া স্পর্শ করতে দেওয়া হয়নি।’
- ভ্যাকসিনে দ্বিধার মোকাবিলা: ‘যখন বহু দেশে টিকাকরণে মানুষের নানা বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে তখন টিকাকরণে জনগণের অংশগ্রহণ ভারতীয়দের জন্য মহামারী মোকাবিলায় অস্ত্র হয়ে উঠেছে।’
- কোভিড সতর্কতা অব্যাহত থাকুক: ‘দেশ এখন বড় স্বপ্নপূরণ ও সফলে সক্ষম। কিন্তু নিয়ম ভাঙলে চলবে না। রক্ষাকবচ যতই দৃঢ় ও আধুনিক হোক যুদ্ধ চলাকালীন অস্ত্র নামানো যাবে না। উৎসব সতর্কতার সঙ্গেই পালন করতে হবে। মাস্ক পড়াটা জীবনের অঙ্গ করে তুলুন। যাঁরা টিকা পেয়েছেন তাঁরা করোনাকে পরাস্ত করতে অন্যকে টাকা নিতে উৎসাহিত করুন।’