কলকাতা

ভুয়ো আমলা ও টিকাকরণের ঘটনার তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ

কসবার ভুয়ো আমলা ও টিকাকরণের ঘটনার তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। অ্যান্টি ফ্রড সেকশন এই বিষয়টির তদন্ত করবে। ভুয়ো ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দেবাঞ্জন দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকটি তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার তদন্তভার নেওয়া গোয়েন্দাদের হাতে সেসব তুলে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। কসবার আগে আর কোথায় কোথায় ধৃত দেবাঞ্জন ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্প করেছে, তার খোঁজ নেওয়া হয়েছে।দেবাঞ্জনকে জেরা করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূ্র্ণ তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, এর আগে উত্তর কলকাতার একটি কলেজে টিকাকরণের শিবির করেছিল দেবাঞ্জন। সেখানে প্রায় ৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তার আগে সোনারপুরে ক্যাম্প করেছিল সে। টিকাকরণে সাধারণ মানুষকে উৎসাহ দিতে সেই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। কিন্তু কেউই ঘুণাক্ষরে টের পাননি যে বিষয়টি ভুয়ো। কোথায় কোথায় কারা দেবাঞ্জনের এই ভুয়ো ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছেন, তার খোঁজ শুরু করেছে পুরসভা। তাদের ঠিকানা ধরে ধরে হদিশ চাওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন একটাই, নিজের ভুয়ো আইএএস পরিচয়ের মতো ভ্যাকসিনও কি ভুয়ো? যদিও পুলিশ জানিয়েছে, কসবার ওই শিবিরে থাকা টিকার ডোজের ভায়াল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তা মেয়াদোত্তীর্ণ নয়। অর্থাৎ ধরে নেওয়া যায়, টিকা সাম্প্রতিক। কোথা থেকে সে টিকা জোগাড় করেছিল, কোথা থেকেই বা টিকাকরণ শিবির করার অনুমোদন মিলত – এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আরেকটি সূত্রে খবর, দেবাঞ্জন এবং তার পরিবারের সদস্যরা করোনা টিকা নিয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে। এই তথ্যও অনেক প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে।