কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে কৃষকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এবার কৃষক নেতাদের খুনের ছক কষা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, হরিয়ানার পুলিশ আধিকারিক এই ছক কষছেন। যদিও বিক্ষোভকারী কৃষকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিক। শুক্রবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে করেন কৃষকরা। সেখানে মাস্কে মুখ ঢাকা এক যুবককে হাজির করেন তাঁরা। অভিযোগ করেন, চার কৃষক নেতাকে খুন করতে ২টি দলকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর ওই দলেরই এক সদস্যকে শনাক্ত করে ধরে ফেললেন কৃষকরা। ২৬ জানুয়ারির কৃষক প্যারেড ভেস্তে দেওয়ার উদ্দেশেই এই ছক কষা হয়েছে বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। সিঙ্ঘু সীমানায় প্রকাশ্যেই ওই অভিযুক্ত বলেন, ‘কৃষক নেতাদের উপর হামলা করতে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। এ ধরনের দুটি দল রয়েছে। একদল মিশে রয়েছে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে। অন্য দলের সদস্যরা পুলিশ আধিকারিক সেজে কার্যসিদ্ধি করতে চাইছে।’ অভিযুক্ত যুবক আরও জানান, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন র্যালির মধ্যে থেকে গুলি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এমনকী, চার কৃষক নেতার ছবিও দেওয়া হয়েছে আততায়ীদের। তাদের খুন করতে ‘সুপারি’ও দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এই পরিকল্পনার মাথা হরিয়ানার সোনেপতের রাই পুলিশ ফাঁড়ির এসএইচও বিবেক মালিক। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। পুলিশ কেন এরকম করবে?